Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্বাচনে চিন-রাশিয়া-ইরানের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা, প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বর্ণবিদ্বেষী প্রচার ভিডিও ঘিরে বিতর্কে ট্রাম্প শিবির।

US warns Russia, China, Iran for election interference
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 2, 2018 9:16 am
  • Updated:November 2, 2018 9:16 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন পরেই আমেরিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচন। চিন, রাশিয়া ও ইরানে সেই নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা ও প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বুধবারই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এমন চেষ্টার বিরুদ্ধে কড়া ও দ্রুত প্রত্যাঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা। যদিও নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টি খুব একটা স্বস্তিতে নেই। তার উপর একটি বর্ণবিদ্বেষমূলক প্রচার বিজ্ঞাপন পোস্ট করে বসেছেন স্বয়ং ট্রাম্প। যা নিয়ে আমেরিকায় তীব্র হইচই চলছে।

[তালিবানি শাসনকে স্বীকৃতি! মালালার বাবার বেনজির আক্রমণের মুখে ইমরানের দল]

Advertisement

৬ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর ৪৩৫টি এবং মার্কিন কংগ্রেসের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি সেনেট আসনের ফয়সালা হবে। যা ট্রাম্পের ভবিতব্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সে বিষয়ে এখনও এফবিআই তদন্ত চলছে। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের চেষ্টা সবচেয়ে বড় বিপদ। জনগণের মত ও সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করতে চিন, রাশিয়া ও ইরানে নানা ধরনের চেষ্টা চলছে বলে তাঁদের কাছে খবর। এমন ব্যক্তি ও সংস্থাকে চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইতিমধ্যেই নানা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যেমন বিচার দফতর ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দপ্তরের সঙ্গে একযোগে ভোটের দিন ‘কমান্ড পোস্ট’ তৈরি করেছে এফবিআই। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গোড়ায় এই ধরনের নির্বাচনী হস্তক্ষেপে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, বিভিন্ন দুর্ঘটনাকে সমাজের মধ্যে বিভাজন ও জনতার ক্ষোভের প্রকাশ বলে ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করছে ‘অতি-বামপন্থী’ সংবাদমাধ্যম। তারা দেশের শত্রু বলেও ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত, পিট্‌সবার্গে বন্দুকবাজের হানায় ১১ জনের মৃত্যুর পর সেখানে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সেই খবর প্রকাশের জেরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের তোপের মুখে পড়েছে সিএনএন, এবিসি নিউজ, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো সংবাদমাধ্যম। ট্রাম্প তাঁদের ‘অতি-বামপন্থী’ বলেছেন কি না, সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি।

[স্কুলে পড়ুয়াদের লাগাতার ধর্ষণ, ১০৫ বছরের কারাদণ্ড প্রিন্সিপালের]

এদিকে, মেক্সিকো থেকে বেআইনি অভিবাসী লুই ব্রাকামন্তেসকে ঢুকতে দেওয়ার দায় চাপিয়ে ডেমোক্র‌্যাটদের কটাক্ষ করে নির্বাচনী প্রচার করেছেন ট্রাম্প। ব্রাকামন্তেস দু’জন পুলিশ কর্মীকে খুন করেছিল। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, আরও পুলিশ কর্মীকে খুনের হুমকি দিচ্ছে ব্রাকামন্তেস। এই ভিডিও ১৯৮৮-তে জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্বাচনে প্রচারে ব্যবহৃত ‘উইলি হর্টন’ ভিডিওর কথা মনে পড়িয়ে দিয়েছে। যার পর থেকে আমেরিকার আধুনিক রাজনীতিতে শ্বেতাঙ্গ বনাম কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রচার হিসাবে মনে করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement