সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিনকে (China) কড়া হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা (America)। এবার ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানের বিরুদ্ধে বেজিংয়ের আগ্রাসী নীতির প্রতিবাদে সরব হয়েছে ওয়াশিংটন।
লালফৌজকে কার্যত যুদ্ধের হুমকি দিয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ফিলিপিন্সের সেনাবাহিনী, জাহাজ বা বিমানের উপর হামলা হলে চুক্তি মেনে বন্ধু দেশটির পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা দক্ষিণ চিন সাগরে ফিলিপিন্সের উপর হামলা হলে প্রতিরক্ষা চুক্তি মেনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালাবে মার্কিন সেনা।” তাঁর এই হুমকি যে চিনের দিকেই তা স্পষ্ট করে প্রাইস আরও বলেন, “হোয়াইটসান রিফের কাছে চিনা মিলিশিয়ার উপস্থিতি নিয়ে ফিলিপিন্স ও আমেরিকা দুই দেশই উদ্বিগ্ন।” একইভাবে, তাইওয়ানকেও আর্থ-সামাজিক ভাবে রক্ষা করতে তারা দায়বদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রাইস। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অভিযোগ করেছে, খুব সম্প্রতি তাদের আকাশপথে ১৫টি চিনা বিমান বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়েছিল যার মধ্যে ১২টি যুদ্ধবিমান।
উল্লেখ্য, তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে চিন বলে একাধিকবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছলে লালফৌজকে ঘিরে ফেলতে কয়েকদিন আগেই জাপানের (Japan) সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনায় হয়ে গিয়েছে মার্কিন কর্তাদের বলে খবর। প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ জনসংখ্যার তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। বিশেষ করে বেজিংয়ে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। পরোক্ষে তাইওয়ান দখলের হুমকি দিয়ে একাধিকবার লালফৌজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বর্তমান চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। এহেন সময়ে তাইওয়ানের অস্তিত্ব রক্ষায় আমেরিকা-জাপান যুগলবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। আর বিপদে যে বন্ধু দেশটির পাশে দাঁড়াবে ওয়াশিংটন তা এবার স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.