Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন বন্ধ হোক, ফের সরব আমেরিকা

ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্ব নতুন নয়।

US warns China against aggression in Indo-Pacific | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 14, 2021 4:16 pm
  • Updated:December 14, 2021 4:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Indo-Pacific)  অঞ্চলে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফের সরব আমেরিকা। অধিকাংশ সময় খোলা সমুদ্র অঞ্চলকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে বেজিং। সেই দাবি এবার বন্ধ হওয়া উচিৎ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (US Secretary of State Antony Blinken)।

ট্রাম্প জমানায় এশিয়ার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে চিন-আমেরিকার মধ্যে বিস্তর টানাপোড়েন চলেছে। সেই পরিস্থিতির উন্নতি চাইছে বাইডেন প্রশাসন। এর মাঝে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে চিন বিরোধী জোট মজবুত করছে আমেরিকা। সেই উদ্দেশে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে এসেছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব। সেই সফরেই চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ব্লিঙ্কেন। বলেন, “ওঁরা(চিন) খোলা সমুদ্রকে নিজেদের বলে দাবি করে। রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থার মাধ্যমে ভরতুকি দিয়ে খোলা বাজারকে নষ্ট করা হচ্ছে।” বেজিংয়ের এই আচরণ বন্ধ করা উচিৎ বলে দাবি করেছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি আরও বলেন, “সব দেশে চিনের এই আচরণের বদল চায়। আমরাও চাই ওরা নিজেদের বদলে ফেলুক।”

Advertisement

[আরও পড়ুূন: পরনে জিনস, অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলা তরুণীই কাটছে পকেট! চিড়িয়াখানায় সাবধান]

ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্ব নতুন নয়। দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। ফলে ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটছে বেজিং। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা।

আবার ২০০৮ সালে এডেন উপসাগরে সোমালিয়ার (Somalia) জলদস্যুদের উপদ্রব প্রচুর বেড়ে যায়। তারপর থেকেই চিন-সহ একাধিক দেশ দস্যুদমন অভিযান শুরু করে। কিন্তু বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন যে সোমালিয়ার দস্যুদের কাবু করতে এহেন বিপুল রণসজ্জার প্রয়োজন নেই। অত্যাধুনিক ও বিভিন্ন মিসাইলে সজ্জিত চিনা রণতরীগুলি যেভাবে টহল দিচ্ছে তাতে লালফৌজের আগ্রাসী মনোভাব সাফ হয়ে গিয়েছে। চিনের এই মনোভাবের বিরোধিতা করেছে আমেরিকা।

[আরও পড়ুূন: বাঁশদ্রোণিতে খুনের ঘটনায় ভিনরাজ্য থেকে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত, ধৃত নিহত ব্যক্তির আত্মীয়াও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement