সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুঙ্গে চিন বনাম আমেরিকা সংঘাত। আর মহাশক্তিদের মাঝে পিষ্ট হয়ে কার্যত যাঁতাকলে আটকে পড়া ইঁদুরের দশা তাইওয়ানের (Taiwan)। সেই পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে এবার তাইপেইকে হাতিয়ার করে বেজিংকে চাপে রাখতে নয়া পদক্ষেপ করল ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে আমেরিকা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বিগত দিনে চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমিউনিস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একাধিকবার ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রটিকে দখল করার হুমকি দিয়েছেন। এহেন সময়ে তাইপেই ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রাইস বলেন, “তাইওয়ানের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধটা পাথরের মতো কঠিন। ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে এটা খুবই জরুরি।” পরোক্ষে চিনকে বার্তা দিয়ে ওই দুঁদে মার্কিন আমলা আরও বলেন, “আমরা সবসময় বন্ধুদের পাশে দাঁড়াব। গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের সঙ্গে আমরা আগামী দিনেও সম্পর্ক আরও মজবুত করে যাব।”
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা (America) জেরবার। ভারত, রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলি আপাতত তালিবানের গতিবিধি নিয়ে ব্যস্ত। এটাই তাইওয়ানের উপর চাপ তৈরির মোক্ষম সুযোগ। কারণ মার্কিন মদত ছাড়া লালফৌজের সামনে তাইওয়ান দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু আফগানিস্তানে সদ্য ২০ বছরের লড়াই শেষ করে চিনের মতো শক্তির সঙ্গে সংঘাতে নামতে চাইবে না ওয়াশিংটন। তাই এই সুযোগে তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে বেজিং।
আশঙ্কা খানিকটা সত্যি করে কয়েকদিন আগে তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন’-এ ঢুকে পড়েছিল চিনের দু’টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে একটি ছিল সাবমেরিন শিকারি ‘শানশি ওয়াই-৮’ বিমান। এই প্লেনগুলিতে অত্যন্ত আধুনিক সনার ও রাডার রয়েছে যার ফলে এরা সহজেই প্রতিপক্ষের সাবমেরিন খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। কিন্তু সেটা যে মেনে নেওয়া হবে না তা এবার স্পষ্ট করল বাইডেন প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.