সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাণিজ্য যুদ্ধের পর করোনার কামড়। চিন ও আমেরিকার মধ্যে ক্রমে আরও ঘোরাল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এহেন পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াতে ফের ‘হংকং’কে হাতিয়ার করল ওয়াশিংটন। সদ্য, চিনে সংবাদকর্মীদের স্বাধীনতা নিয়ে সরব হয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি, বেজিং যদি মার্কিন সাংবাদিকদের কাজে বাধা সৃষ্টি করে তাহলে ফল ভাল হবে না।
এক বিবৃতিতে কড়া ভাষায় চিনের সমালোচনা করে পম্পেও বলেন, “হংকংয়ে আমেরিকার সাংবাদিকদের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে চিন সরকার। বিষয়টি সদ্য আমাদের নজরে এসেছে। আমি এটা মনে করিয়ে দিতে চাই, ওই সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাঁরা কোনও দলের ক্যাডার নয়। তাঁদের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যই ঘটনাক্রম জানতে পারে চিন ও বিশ্বের মানুষ।”
গত বছর থেকেই গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে হংকং। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বেজিং। করোনা ভাইরাসের হামলায় সাময়িকভাবে আন্দোলন থামলেও ফের শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগতে চাইছে ওয়াশিংটন। সম্প্রতি, চিনা সংবাদকর্মীদের ওয়ার্ক ভিসার সময়সীমা কমিয়ে ৯০ দিন করেছে আমেরিকা, পালটা বেশ কয়েকজন মার্কিন সাংবাদিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে চিন। করোনা মহামারি ছড়ানোর অভিযোগে বেজিংকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সব মিলিয়ে দু’দেশের মধ্যে আরও বেড়েছে সংঘাত।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পাঞ্চেন লামাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিল ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, পাঞ্চেন লামাকে কোঠায় লুকিয়ে রেখেছে চিন, তা গোটা বিশ্বকে জানানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করা হবে বলেও জানিয়েছে আমেরিকা। অ্যাম্বাসাডর- অ্যাট-লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম, ব্রাউনব্যাক সাংবাদিকদের বলেন, “পাঞ্চেন লামা কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। তবে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চিন প্রশাসনের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে যাব আমরা।” এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, চিনকে গোটা বিশ্বকে জানাতে হবে পাঞ্চেন লামাকে কোথায় রাখা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.