গোটা ঘটনার উপর নজর রেখেছে ভারত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশস্ত তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার শান্তি চুক্তির পথ। এবার এক সপ্তাহের জন্য ‘হিংসাত্মক ঘটনা কমিয়ে আনতে’ রাজি হয়ছে তালিবান, আমেরিকা ও আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী।
স্থানীয় সময় মতে শুক্রবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ঘোষণা করেন, এদিন থেকেই এক সপ্তাহের জন্য নাশকতামূলক কাজ কমিয়ে আনতে রাজি হয়েছে তালিবান। পাশাপাশি আমেরিকা ও আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীও ‘অভিযানের সংখ্যা কমিয়ে আনবে’। যদিও তিনি সাফ করে দিয়েছেন, এই সাতদিন ‘অ্যাক্টিভ ডিফেন্স স্ট্যাটাস’ বা রক্ষণাত্মক স্থিতিতে থাকবে কাবুলের বাহিনী। আফগান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মহিবের মুখপাত্র জাভিদ ফয়সল জানান, তালিবান ছাড়া অন্য জঙ্গি সংগঠন যেমন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। তবে তালিবানের দিক থেকে কোনও হামলা হলে তার কড়া জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি বাহিনীকে।
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, সাতদিনের এই সংঘর্ষ বিরাম ঠিক মতো হলে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করবে আমেরিকা। পম্পেওর ঘোষণার পরই শান্তি চুক্তির কথা স্বীকার করছেন তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। পেন্টাগন সূত্রে খবর, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরে আসবে।
এদিকে, গোটা ঘটনার উপর নজর রেখেছে ভারত। ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আসন্ন মার্কিন-তালিবান শান্তি চুক্তির সমসত তথ্য জানতে চাইবে সাউথ ব্লক। তবে, এই আলোচনায় ভারতের কচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হবে, ওই চুক্তিতে পাকিস্তানের ভূমিকা কী এবং কতটা? নয়াদিল্লির আশঙ্কা, এই শান্তি চুক্তির সুযোগ নিয়ে আফগানিস্তানে কৌশলগত আধিপত্য ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাবে ইসলামাবাদ। হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও তালিবানের সঙ্গে আইএসআইয়ের মধুর সম্পর্কের ফলে সেখানে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসের সম্ভাবনাও বাড়বে। এখন ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে যে, মার্কিন বাহিনী সরে যাওয়ার পরে ইসলামাবাদ যেন নয়াদিল্লিকে নতুন কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে না পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.