সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১১ সাল। গোটা বিশ্ব চমকে উঠেছিল ৯/১১ হামলার মূল চক্রী ওসামা বিল লাদেনের নিকেশের খবরে। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লুকিয়ে থাকা লাদেনকে গোপন মিশনে খতম করেছিল মার্কিন সেনা। তারপর দেহটি ফেলে দেওয়া সমুদ্রে। সেই সময় আলোচনায় উঠে এসেছিল ইউএসএস কার্ল ভিনসন। এই রণতরীতেই লাদেনের দেহ আনা হয়েছিল সমুদ্রে। এবার সেই জাহাজকেই মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাল আমেরিকা। যে অতিরিক্ত নৌবহর পাঠানো হয়েছে তার নেতৃত্বেই রয়েছে ভিনসন।
অতীতেও ভিনসন মধ্যপ্রাচ্যে নানা অপারেশনের সাক্ষী থেকেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘অপারেশন ডেজার্ট স্ট্রাইক’, ‘অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম’ ও ‘অপারেশন এনডুরিং ফ্রিডম’-এর মতো নানা অপারেশন। এবার সেই রণতরীকেই বেছে নেওয়া হল নয়া অপারেশনে।
আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে চলতে থাকা সংঘাত এবার সরাসরি যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পরমাণু চুক্তি সই না করলে ইরানের উপর বোমা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পালটা এবার মিসাইল প্রস্তুত করা শুরু করেছে ইরান। আমেরিকা যদি কোনওরকম হামলা চালায় তবে পালটা জবাব দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাটির নিচে ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করছে তেহরান। শুধু তাই নয়, পরমাণু চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাবও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে তেহরানের তরফে।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুর চড়িয়ে ট্রাম্প জানান, “তারা যদি পরমাণু চুক্তি না মানতে চায়, তবে এমন বোমা হামলা হবে ইরানে, যা এর আগে কেউ প্রত্যক্ষ করেনি।” এরপর সুর খানিক নরম করে বলেন, “আরও একটা সম্ভাবনা আছে। তারা পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর না করলে তাদের উপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.