Advertisement
Advertisement

Breaking News

bulldozer

ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বুলডোজার, তীব্র সমালোচনা দুই মার্কিন সেনেটরের

ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইন্দো-আমেরিকা মুসলিম কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও।

US senators condemn bulldozer display at India Day Parade in Edison | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 3, 2022 8:05 pm
  • Updated:September 3, 2022 8:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সীমা ছাড়িয়ে বুলডোজার বিতর্ক এবার পৌঁছে গেল সুদূর আমেরিকায় (US)। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ছবি সাঁটানো বুলডোজার রাখা হয়। এবিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ আমেরিকার দুই সেনেটর। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইন্দো-আমেরিকা মুসলিম কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও।

১৪ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এডিসন (Edison) শহরে কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একটি বুলডোজার রাখা হয়। তাতে সাঁটানো ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় ইন্দো-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল-সহ একাধিক গোষ্ঠীর সদস্যরা। চলতি সপ্তাহে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেনেটর বব মেনেন্দেজ এবং কোরি বুকারের দপ্তরের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কৃষ্ণের নামে আশ্রমের অন্দরে মধুচক্র! মহিলাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, সাধুকে গণধোলাই]

মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের অভিযোগ, বুলডোজার ঘৃণা-অপরাধের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই বুলডোজারকে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ তাদের। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সেই বুলডোজার বিদেশে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করায় চরম বিতর্ক তৈরি হয়।

এই ইস্যুতে আমেরিকার দুই সেনেটর যৌথ বিবৃতি জারি করেন। বলেন, ইন্দো-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল-সহ একাধিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিরা। গত মাসে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বুলডোজার রাখার ঘটনায় নিউ জার্সির দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের আঘাত দিয়েছে। বুলডোজার ভারতে মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বুলডোজারের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত অন্যায়।” তারা আরও বলেছে, “নিউ জার্সিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। সবচেয়ে বেশি জনবৈচিত্র্য দেখা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার বহু মানুষের বাস এখানে। আর সমস্ত সম্প্রদায়ের ভয়ডরহীন হয়ে বাঁচার অধিকার রয়েছে।” স্বাভাবিকভাবেই দুই সেনেটরের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

[আরও পড়ুন: ‘অর্জুনের MPLADS-এর টাকায় জগদ্দলের উন্নয়ন নয়’, পঞ্চায়েত প্রধানকে ‘হুমকি’ TMC বিধায়কের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement