Advertisement
Advertisement

খাশোগ্গি হত্যায় চড়ছে পারদ, অভিযুক্তদের ভিসা প্রত্যাহার করল আমেরিকা

তবে কি ছিন্ন হতে চলেছে ওয়াশিংটন-রিয়াধ সম্পর্ক?

US scraps visa of men accused in Jamal Khashoggi murder
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 25, 2018 10:43 am
  • Updated:October 25, 2018 10:43 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের সঙ্গী সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল আমেরিকা। তুরস্কের সৌদি দূতাবাসের অভ্যন্তরে সে দেশের সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গির হত্যায় যুক্ত সৌদি নাগরিকদের মার্কিন ভিসা প্রত্যাহার করল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি, খাশোগ্গি খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার যে চেষ্টা রিয়াধ করেছে, তা ইতিহাসে নিকৃষ্টতম বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প নিজেই।

[ওবামার পর টার্গেট ক্নিনটন, প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডির বাড়িতে উদ্ধার বিস্ফোরক]

Advertisement

বন্ধু আমেরিকা কড়া হওয়ায় সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সৌদি আরব আরও চাপে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। ইস্তানবুল সৌদি আরবের দূতাবাসে খুন করা হয়েছিল ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক খাশোগ্গিকে। দীর্ঘ দু’সপ্তাহ নীরব থাকার পর সৌদি আরব ঘটনা স্বীকার করে নেয়। মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও জানান, তাঁরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন। অভিযুক্তদের মার্কিন ভিসা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভিসা লুক আউট-সহ আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভিসা লুক আউট থাকায় অভিযুক্তরা আমেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করলেই গ্রেফতার করা হবে। পম্পেও আরও জানান, এতেই সমস্ত কর্তব্য শেষ হবে না আমেরিকার। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দিতে অন্য সম্ভাব্য উপায় নিয়েও প্রশাসন আলোচনা করবে। খাশোগ্গির মতো সাংবাদিককে হিংসার মাধ্যমে মুখ বন্ধ করে দেওয়ার এই ধরনের সমস্ত চেষ্টা আমেরিকা কোনওভাবেই সহ্য করবে না। কতজন সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হল, মার্কিন বিদেশসচিব তা স্পষ্ট করেননি। তবে জানিয়েছেন, সৌদি আরবের গুপ্তচর সংস্থা, রাজকীয় আদালত, বিদেশমন্ত্রক ও অন্য দফতরের কর্মীরাও এর আওতায় পড়ছেন। দুর্নীতি-বিরোধী হিসাবরক্ষক সের্গেই ম্যাগনিটস্কি রুশ হেফাজতে থাকার সময় মারা গিয়েছিলেন। তাঁর নামে একটি আইন চালু করেছে আমেরিকা। ওই আইনে খাশোগি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, সেটাও আমেরিকা খতিয়ে দেখছে বলে পম্পেও জানান।

এদিকে, খাশোগ্গিকে খুন করে যেভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার ওভাল অফিসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “খাশোগ্গিকে খুন করার ভাবনাটাই অত্যন্ত বাজে। তার উপর তাঁকে খুনও করা হয়েছে খুব বাজেভাবে। আর যেভাবে সেটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, সেটা বোধহয় ইতিহাসে নিকৃষ্টতম। এমনটা যে হতে পারে, কখনও ভাবতেই পারি না। যার মাথা থেকে এই পরিকল্পনা বেরিয়েছে, তাকে তো বড় সমস্যায় পড়তে হবেই। একই সঙ্গে ফেঁসেছে অন্যরাও। ওদের এমনটাই হওয়া উচিত।”

খাশোগ্গির খুনের কথা স্বীকার করলেও রিযাধের দাবি, কথা কাটাকাটির সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাগের মাথায় তাঁকে খুন করে কয়েকজন। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এর্দোগানের দাবি, পরিকল্পনা করেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। এবং ঘটনায় যুক্ত ১৮ জন সৌদি নাগরিককে ইস্তানবুলে ফেরত পাঠিয়ে সেখানেই তাদের বিচার করতে হবে। যদিও এর্দোগানের দাবির সঙ্গে একমত নন বলেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।খাশোগ্গি খুনের যে বিবরণ সৌদি আরব দিয়েছে, তা তিনি বিশ্বাস করেন? মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী, আমেরিকায় অন্যতম বড় লগ্নিকারী হিসাবে মন্তব্য করে ট্রাম্পের জবাব, আগে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সামনে আসুক। তারপর এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা যাবে।

[উনিশের ভোটের পর ফের ভারতকে শান্তির বার্তা দেবে পাকিস্তান]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement