সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্য়চিত্র নিষিদ্ধ হয়েছে এ দেশে। বিষয়টি নিয়ে দেশের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। এবার একই ইস্যুতে ভারতকে গণতন্ত্রে বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব মনে করাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। সংবাদ মাধ্য়মের স্বাধীনতার পক্ষেও সওয়াল করল তারা। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ঘুরিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে ভারতের অবস্থানের সমালোচনাই করল মার্কিন মুলুক।
এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নেস প্রাইড বলেন, “গোটা বিশ্বে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে আমরা সমর্থন করি। একইভাবে গণতন্ত্রকে মজবুত করতে বাক স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতার উপরও জোর দিই। গোটা বিশ্বের মতো ভারতের ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান এক।” তাহলে কি তথ্যচিত্রের উপর নিষেধাজ্ঞাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখাতে চাইছে আমেরিকা, উঠছে প্রশ্ন।
We support free press in world & highlight importance of democratic principles like freedom of expression, religion that strengthen democracy. It’s point we make around world & in India too:US Dept of State on India banning BBC documentary on PM Modi being matter of press freedom pic.twitter.com/hEgzWvnJ5S
— ANI (@ANI) January 26, 2023
দিন কয়েক আগে অবশ্য এই ইস্যুতে ভারতের পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছিল ওয়াশিংটন। সোমবার এ প্রসঙ্গে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, “যে তথ্যচিত্রের কথা বলছেন, সেটা নিয়ে বিশেষ কিছু জানা নেই। তবে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক প্রসঙ্গে অনেক কিছু জানি। দুই দেশের গণতন্ত্রে প্রচুর মিল রয়েছে। ভারতে যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা নিয়ে সংশয় থাকলে আমরা বরাবরই প্রশ্ন করে থাকি।” এবার সেই সুর কিছুটা বদলাল বলেই মনে
বিবিসির তথ্যচিত্র দেশে দেখানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী কার্যতই ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছেন, ওই সিরিজটি ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং এটিতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব ও ঔপনিবেশিক মানসিকতা দৃশ্যমান। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিরিজ ভারতে দেখাতে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, বিবিসির তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেনের বিরোধিতা শুরু হয়েছে ব্রিটেনের অন্দরেই। বিবিসির বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত করার দাবিও উঠেছে। অনলাইন পিটিশন করে বলা হয়েছে, “বিবিসির কড়া নিন্দা করছি। তারা ডকু-সিরিজ তৈরির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসির নিরপেক্ষ ভূমিকা কেন পালন করল না, তা তদন্ত করে দেখুক বিবিসির বোর্ড।” তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.