Advertisement
Advertisement

Breaking News

জমছে যুদ্ধের মেঘ! সংঘাত এড়াতে আলোচনায় আমেরিকা-রাশিয়া

ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ন্যাটো সম্মেলন।

US, Russia defence chiefs held telephone call
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:July 13, 2024 4:41 pm
  • Updated:July 13, 2024 4:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সংঘাত বেড়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে। এর মাঝে আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হওয়া ন্যাটো সম্মেলন। যেখানে ঘোষণা করা হয়েছে, জার্মানির মাটিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে আমেরিকা। ফলে সব মিলিয়ে ফের ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ! এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসভের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং জানান, আন্দ্রে বেলোসভের সঙ্গে বৈঠকে লয়েড অস্টিন আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার পথ খোলা রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। যা ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে খুবই জরুরি। সাবরিনা আরও জানান, মস্কোর তরফ থেকেই উদ্যোগ নিয়ে ফোনটি করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ন্যাটোর সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলমান যুদ্ধের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ক্লাস চলাকালীন নাইজেরিয়ায় স্কুল ধসে মৃত্যু অন্তত ২২ পড়ুয়ার! আহত বহু]

উল্লেখ্য, ৯ থেকে ১১ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাটোর ৭৫ বছর পূর্তিতে মহাসম্মেলনের আসর বসেছিল। যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা। এই জোটের সদস্য দেশগুলো প্রত্যেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়েছে। নতুন করে কিয়েভের জন্য সামরিক সাহায্যও ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার ন্যাটোর বৈঠকে আমেরিকা ও জার্মানির তরফে যৌথ এক বিবৃতিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এর পরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুঁশিয়ারি দেন, নতুন করে ঠান্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ইউরোপের মাটিতে। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার অস্টিন ও অস্টিনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, সংঘাত এড়াতে আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাইছে দুদেশ। কারণ একদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ ও অন্যদিকে, গাজা যুদ্ধ। এবার যদি আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো দুই শক্তিধর দেশ যদি রণক্ষেত্রে নামে তাহলে বিশ্বের পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে। আর দুবছর ধরে কিয়েভের সঙ্গে লড়াই করার ফলে ভাঁড়ারে টান পড়েছে মস্কোরও। ফলে নতুন করে কোনও সংঘাতে জড়াতে চায় না ক্রেমলিন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement