Advertisement
Advertisement

দক্ষিণ চিন সাগর ইস্যুতে বেজিংকে আবারও হুঁশিয়ারি ওয়াশিংটনের

সামরিক গতিবিধি বন্ধের দাবি৷

US presses China on South China Sea
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 10, 2018 5:21 pm
  • Updated:November 10, 2018 5:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর এবং বিশ্ব বাণিজ্য মহলে আধিপত্য স্থাপন নিয়ে কার্যত সম্মুখ সমরে চলছে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে৷ এমন পরিস্থিতিতে চিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মার্কিন প্রতিনিধিরা৷ সূত্রের খবর, দু’দেশের শীর্ষ কর্তাদের আলোচনায় আবারও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছে দক্ষিণ চিন সাগর৷ এই বিতর্কিত জলসীমায় সামরিক গতিবিধি থামানোর জন্য বেজিং-এর কাছে দাবি জানিয়েছে ওয়াশিংটন৷ পাশাপাশি, আলোচনায় উঠে এসেছে, বিশ্ব বাণিজ্যে দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা রেষারেষি, চিনে মুসলিমদের উপর বাড়তে থাকা অত্যাচার রোধ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্যিক পরিবেশ বজায় রাখার মতো বিষয়৷

[কৃত্রিমভাবে জন্ম দুই কন্যাসন্তানের, মিশেলের স্মৃতিকথায় উঠে এল অজানা তথ্য]

Advertisement

বৈঠকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ও স্বরাষ্ট্র সচিব জিম ম্যাটিস৷ চিনের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন চিনা পলিটব্যুরো সদস্য ইয়াঙ্গ জিছি ও চিনা স্বরাষ্ট্র সচিব ওয়েই ফেঙ্গে৷ জানা গিয়েছে, বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ উত্তপ্ত বাক্যালাপ হয় এবং সেখানেই দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে সতর্ক করা হয় বেজিংকে৷ চিনের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈঠকে মাইক পম্পেও বলেন, “দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সামরিক গতিবিধির উপরে ক্রমাগত নজর রেখে চলেছি আমরা৷ আমরা চিনকে কেবল তাঁদের পুরনো প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিতে চাই৷” ওয়াশিংটনের অভিযোগের বিষয়টি যথেষ্ট কৌশলের সঙ্গেই মোকাবিলা করেছে বেজিং৷ তাঁদের বক্তব্য, “নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অধিকার সকলেরই রয়েছে৷”

[৭৫ জন কিশোরকে ‘ধর্ষণ’! গ্রেপ্তার HIV আক্রান্ত সার্জেন্ট]

উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই দক্ষিণ চিন সাগরে মুখোমুখি চলে আসে চিন ও মার্কিন নৌসেনার দুটি যুদ্ধ জাহাজ৷ মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ডেকাটুরের মহড়ার সময় তার সামনে চলে আসে একটি চিনা যুদ্ধ জাহাজ৷ দীর্ঘক্ষণ পরে পিছু হঠতে বাধ্য হয় মার্কিন রণতরীটি৷ দক্ষিণ চিন সাগরে “freedom of navigation operation” নামক একটি মহড়া চালাচ্ছিল মার্কিন নৌসেনা৷ যাতে অংশগ্রহণ করে ইউএসএস ডেকাটুর নামে মার্কিন নৌসেনার মিসাইল গাইডেড একটি ডেস্ট্রয়ার৷ অভিযোগ, হঠাৎ করেই মার্কিন রণতরীর সামনে চলে আসে লুয়াঙ্গ নামের চিনা ডেস্ট্রয়ারটি৷ মার্কিন রণতরীকে একই স্থানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে সেটি৷ অবশেষে বাধ্য হয়ে পিছু হঠে মার্কিন ডেস্ট্রয়ারটি৷ এই ঘটনার পরেই নতুন করে চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় আমেরিকা৷ চিনের এই ব্যবহারকে অপেশাদার কার্যক্রম বলে সমালোচনা করা হয়৷ পালটা তোপ দেগেছে চিনও৷ তাঁদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement