Advertisement
Advertisement

Breaking News

WHOকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

‘অনুদান স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেব’, করোনা আবহে WHO প্রধানকে হুমকি চিঠি ট্রাম্পের

WHO তে মার্কিন সদস্যপদ নিয়েও ভাবা হবে, হুঁশিয়ারি প্রেসিডেন্টের।

US President sends letter to WHO Chief, threating over stop funding parmanently
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 19, 2020 10:01 am
  • Updated:May 19, 2020 10:07 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন নরমে-গরমে অনেক কথা শুনিয়েছেন। এবার সোজা চিঠি লিখে WHO প্রধান টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুসকে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি বড়সড় কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে আমেরিকা অনুদান দেওয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ করবে। এই সংস্থার সদস্য নিজেরাও থাকবে কি না, তাও ভেবে দেখতে পারে। এমন কড়া চিঠি ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ শোরগোল আন্তর্জাতিক মহলে।

বিশ্বে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের নেপথ্যে চিনের ভূমিকাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাকে আড়াল করছে WHO, এই অভিযোগেও সরব হয়েছিলেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মার্কিন অনুদান আপাতত বন্ধ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এবার, চরম হুঁশিয়ারিটাই দিয়ে দিলেন। তিনি জানিয়ে দিলেন, এই যে অস্থায়ীভাবে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে WHO’র বিরুদ্ধে, তা অচিরেই স্থায়ী হয়ে যাবে। অর্থাৎ আমেরিকা পাকাপাকিভাবে অনুদান বন্ধ করে দেবে। যদি না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী এক মাসের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। প্রায় দু পাতার দীর্ঘ চিঠি মার্কিন প্রেসিডেন্টের আরও বক্তব্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় নিজেদের সদস্যপদ নিয়েও ভাববে আমেরিকা।

[আরও পড়ুন: চাপের মুখে মাথা নোয়াল চিন! করোনার উৎস নিয়ে তদন্তের অনুমতি জিনপিংয়ের]

চিনের ইউহানের ল্যাবরেটরি থেকে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে, এই অভিযোগের সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়। দিন কয়েক আগেই এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চেয়ে WHO’র চাপ তৈরি করেছে ষাটের অধিক দেশ। যাতে নাম লিখিয়েছে ভারতও। চিনের ভূমিকার প্রকৃত স্বরূপ জানাতেই হবে – এই দাবিতে সরব দেশগুলি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি চিঠি দেওয়া চাপ বাড়ানোরই আরেক কৌশল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। আবার আরেকাংশের ধারণা, এতে ফল বিপরীতও হতে পারে। তবে চিঠি পাওয়ার পর WHO কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেদিকে আপাতত নজর সব মহলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement