Advertisement
Advertisement

Breaking News

Joe Biden

বৈঠকে বসছেন বাইডেন-জিনপিং, উঠতে পারে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গ

নভেম্বরের ১৫ তারিখ ভারচুয়ালি বৈঠকে বসছেন বাইডেন ও জিনপিং।

US President Joe Biden to meet Chinese Prez Jinping virtually | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 13, 2021 9:38 am
  • Updated:November 13, 2021 9:38 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান ও তালিবান-সহ একাধিক বিষয়ে ক্রমে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও চিন (China)। এহেন পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে আগামী সোমবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতের বিষয়টিও উঠে আসতে পারে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: বাড়ছে মেট্রোর স্মার্ট কার্ডের খরচ, কত জানেন?]

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, নভেম্বরের ১৫ তারিখ ভারচুয়ালি বৈঠকে বসছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনা রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং। দুই দেশের মধ্যে যে ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে সেই বিষয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন বাইডেন। সাকি বলেন, “চিনের কাছে আমেরিকার উদ্দেশ্য ও উদ্বেগের বিষয়গুলি স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।” ওই বৈঠকে ভারত ও চিনের মধ্যে চলা সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গটি উঠবে কি না, প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বলেন, “ওই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরা হবে। কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব হবে সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই প্রশ্নের উত্তরটি আমি আগামীর জন্য তুলে রাখছি।”

Advertisement

গত সেপ্টেম্বর মাসেও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। দুই দেশের মধ্যে চলা প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতের রূপ না নেয়, সেই বিষয়ে চিনা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন-সহ একাধিক বিষয়ে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন বাইডেন। একইসঙ্গে, বিশ্বে শান্তি, উন্নতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিকে আমেরিকার দায়বদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। তাইওনে দখল করার হুমকিও দিয়েছেন জিনপিং। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। বিগত জি ৭ বৈঠকের মঞ্চেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) মুখে শোনা গিয়েছে সংঘাতের সুর। এবার দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার সামরিক পদক্ষেপে সেই সুর আরও চড়বে। এহেন পরিস্থিতিতে সংঘাত এড়াতে নির্দিষ্ট নীতি তৈরির কথায় বাইডেন-শি বৈঠকের আলোচনার মূল বিষয় হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

[আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করছেন? এক বছরের মধ্যে বাড়তে পারে ১০-১৫ শতাংশ দাম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement