Advertisement
Advertisement

Breaking News

Donald Trump

‘রাজি না হলে কিন্তু…’, পরমাণু চুক্তি চেয়ে ইরানকে আলোচনায় বসার ‘হুঁশিয়ারি’ ট্রাম্পের

ইরানের 'সুপ্রিম লিডার' খামেনেইয়ের উদ্দেশে লেখা ট্রাম্পের চিঠিতে স্পষ্ট হুমকি।

US President Donald Trump writes to Iran in strong language to negotiate nuclear deal
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 7, 2025 11:06 pm
  • Updated:March 7, 2025 11:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু শক্তিতে এগিয়ে থাকার লক্ষ্যে এবার ইরানের উপর চাপ বাড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা চেয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি শোনা গেল তাঁর গলায়। ইরানকে চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য, পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসুক তারা, সেটা তাদের পক্ষেই ভালো হবে, নচেৎ খারাপই হবে। সূত্রের খবর, চিঠি পাঠানো হয়েছে ইরানের ‘সুপ্রিম লিডার’ আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে। বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস মুখ না খুললেও ট্রাম্প নিজেই এক সাক্ষাৎকারে চিঠির কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, এখনও এই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেনি তেহরানও।

Advertisement

শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ইরানকে নরমে-গরমে হুমকির সুর শোনা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলায়। পরমাণু শক্তিতে খানিকটা এগিয়ে থাকা ইরানের প্রতি বরাবরই বৈরিতা রয়েছে পশ্চিমি দুনিয়ার। তার উপর এই মুহূর্তে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই চরম পাশ্চাত্য-বিরোধী। আর তাই বিশ্বের পয়লা নম্বর শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনেতা তাঁর উপর চাপ সৃষ্টির কৌশলই নিলেন। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ”ইরানের জন্য আমাদের দুটি রাস্তা আছে। হয় সামরিক শক্তি নয়ত পরমাণু চুক্তি। তবে আমি পরমাণু চুক্তিতেই বেশি আগ্রহী। ইরানকে আর সে দেশের মানুষকে এখনই আঘাত করতে চাই না।” এই বক্তব্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর কথায় রাজি হয়ে আলোচনার টেবিলে না বসলে ইরানের উপর মার্কিন হামলা অবশ্যম্ভাবী।

বিশ্বশক্তির সমীকরণ দেখলে বোঝা যাবে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অহরহ গবেষণা করা ইরানকে ডরায় পশ্চিমি দুনিয়া। কারণ, তাদের স্থির বিশ্বাস, ইরানের ভাঁড়ারে রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। যদিও তেহরানের তরফে বারবারই তা অস্বীকার করা হয়। তারপরও অবশ্য আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রের চাপে রাষ্ট্রসংঘ বারবার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি চাপায় তেহরানের উপর। 

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বছর দশেক আগে বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইরানের সঙ্গে আমেরিকার নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি হয়। যার মূল বিষয় ছিল, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখলে তাদের উপর থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। এখন ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসে ইরানের সঙ্গে আরও কঠিন পরমাণু চুক্তিতে আগ্রহী হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আর তাই হুমকি, চাপ দিয়ে যে কোনও উপায়ে তিনি সেটাই চাইছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement