সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অহিংসা ও সত্যাগ্রহ। গান্ধীজির এই আদর্শকে সম্মান জানানোর প্রস্তাব পেশ হল মার্কিন কংগ্রেসে। এদেশের জাতির জনককে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসে জনা ছয়েক জনপ্রতিনিধি। মার্কিন মুলুকের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান কংগ্রেসেশনাল গোল্ড মেডেল । যে ৬ জন জনপ্রতিনিধি এই প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের দাবি, গান্ধীজিকে এই বিরল সম্মান দেওয়ার মাধ্যমে গোটা বিশ্বে অহিংসা এবং সত্যাগ্রহের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে চান তাঁরা।
মার্কিন কংগ্রেসে গান্ধীজিকে সম্মানিত করার প্রস্তাবটি পেশ করেন ক্যারোলিন মালোনি নামের নিউ ইয়র্কের এক জনপ্রতিনিধি। তাঁর প্রস্তাব সমর্থন করেন চারজন ইন্দো-মার্কিন জনপ্রতিনিধি। অ্যামি বেরা, রাজা কৃষ্ণমূর্তি, রো খান্না এবং প্রমিলা জয়পাল এই প্রস্তাবটির সহ-উদ্যোক্তা ছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসের ভারত সংক্রান্ত বিভাগীয় প্রধান তুলশী গাব্বার্ডও প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেন। আপাতত প্রস্তাবটিকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে আর্থিক পরিষেবা সংক্রান্ত কমিটি এবং প্রশাসক কমিটিতে। তাদের সম্মতি মিললেই সরকারিভাবে মহাত্মা গান্ধীকে এই পুরস্কারের দে্ওয়ার কথা ঘোষণা করবে মার্কিন কংগ্রেস । গত আগস্টেই নিউ ইয়র্কে ইন্ডিয়া দিবসের সমাবেশে ক্যারোলিন মালোনি ঘোষণা করেছিলেন, ইউএস কংগ্রেসে গান্ধীজিকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করবেন তিনি। সেসময় মালোনি বলেন, “গান্ধীজির ঐতিহাসিক সত্যাগ্রহ আন্দোলন এবং অহিংস প্রতিরোধের ধারণা একটা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছিল,গোটা বিশ্বকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। গান্ধীজির পথ ধরেই পরবর্তীকালে গোটা বিশ্বে আন্দোলন হয়েছে। মার্টিন লুথার কিংয়ের বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আন্দোলন হোক কিংবা নেলশন ম্যান্ডেলার লড়াই, সবটাই গান্ধীজির থেকে অনুপ্রাণিত।”
মার্কিন কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন মাদার টেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলাদের মতো ব্যক্তিত্বরা। ১৯৯৭ সালে মাদার টেরেসা, ১৯৯৮ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা, ২০০০ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল এই সম্মান পেয়েছিলেন। দলাই লামাল কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পান ২০০৬ সালে। মায়ানমারের রাষ্ট্রপ্রধান আং সাং সু কি সম্মানটি পান ২০০৮ সালে, বাংলাদেশের নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস ২০১০ সালে মার্কিন কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.