Advertisement
Advertisement
Ukraine

ক্রমেই যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে ইউক্রেনে, এবার মার্কিন সেনাকে তৈরি থাকতে বলল আমেরিকা

ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনী ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ইউক্রেন সীমান্তে।

US orders 8,500 troops on heightened alert amid Russia worry। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 25, 2022 12:55 pm
  • Updated:January 25, 2022 12:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে (Ukraine) দ্রুত হামলা চালাতে পারে রাশিয়া (Russia)। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে সেখানে। এবার ৮ হাজার ৫০০ জন মার্কিন সেনাকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিল আমেরিকা। পাশাপাশি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসন। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিগত কয়েকমাস ধরেই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের প্রভাব বিস্তার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া। সম্প্রতি, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক গোষ্ঠীটিতে কিয়েভের যোগ দেওয়ার জল্পনার পর থেকেই ইউক্রেন (Ukraine) সীমান্তে দ্রুত সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে মিলেছে আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত! এহেন পরিস্থিতিতে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন ও কানাডা। রুশ বাহিনীকে রুখতে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের হাতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল তুলে দিয়েছে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের ফৌজকে মদত দিতে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়েছে কানাডা। এবার জানা গেল আমেরিকাও সেনাকে প্রস্তুত করছে। এদিকে এহেন ডামাডোলে রবিবার মার্কিন বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে, রুশ ফৌজের হামলার আশঙ্কায় কিয়েভের দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে। শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাই সেখানে থাকবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বেনজির! তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ ৩৯টি চিনা যুদ্ধবিমানের]

ন্যাটো গোষ্ঠীতে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। এর অন্যথা হলে সামরিক পদক্ষেপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে মস্কো। এমনও শোনা গিয়েছে, ইউক্রেনের মসনদে একজন রাশিয়াপন্থীকে বসাতে চায় রাশিয়া। যদিও ব্রিটেনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। কার্যতই এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধের রাঙা মেঘ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের আশঙ্কা, ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাশিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই তাঁরা সতর্ক থাকছেন। অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে কেমন জবাব দেয় আমেরিকা, তার উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে বাইডেনের আগামী দিনের ভাবমূর্তি। যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথম এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বাইডেনকে।

ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ইস্যুকে ঘিরে রাশিয়া ও আমেরিকার দুই রাষ্ট্রনায়ককে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। দূরভাষের কথোপকথনে দু’জনকেই পরস্পরকে হঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে। ইউক্রেনে মস্কো যদি আগ্রাসন না থামায়, তাহলে রাশিয়াকে এর জন্য ‘কড়া মূল্য’ চোকাতে হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। অন্যদিকে পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিনও।

[আরও পড়ুন: মেজাজ হারালেন বাইডেন, সাংবাদিককে জনসমক্ষেই কুৎসিত গালাগালি দিয়ে বিতর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement