সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে মার্কিন রণতরী। সোমবার মালাক্কা প্রণালীতে একটি তেলবাহী জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে মার্কিন নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস জন ম্যাককেন’-এর। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নৌসেনার পাঁচ নাবিক, নিখোঁজ আরও ১০ জন। অত্যাধুনিক রাডার ও প্রযুক্তি থাকা সত্বেও কী করে ওই টক্কর হয় তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
[হামলা করলে মৃত্যুমিছিল দেখবে চিন, সুর চড়াল কেন্দ্র]
এদিন সকাল ৫টা নাগাদ মার্কিন নৌসেনার ‘সেভেন্থ ফ্লিটের’ ডেস্ট্রয়ার ‘ইউএসএস জন ম্যাককেন’-এর সুরক্ষা বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়ে লাইবেরিয়ার ‘আলনিক এম সি’ নামের একটি তেলবাহী জাহাজ। শেষ মুহূর্তে সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করলেও ধাক্কা লাগে দুটি জাহাজের। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রণতরীটি। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন নৌসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক। তিনি আরও জানিয়েছেন, সংঘাতের জেরে আহত হয়েছেন পাঁচ নাবিক। এছাড়াও ১০ জন নাবিক ছিটকে পড়েন জলে। তাঁদের সন্ধানে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। তবে ইঞ্জিনের বিশেষ ক্ষতি না হওয়ায় জাহাজটি সিঙ্গাপুর বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ-চিন সাগরে আমেরিকার ‘ফ্রিডম অফ নেভিগেশন’ অভিযানের অন্তর্গত টহল দিচ্ছে ‘ইউএসএস জন ম্যাককেন’। সম্প্রতি, বিতর্কিত জলরাশিতে চিনের নির্মিত দ্বীপগুলির আশেপাশে নজরদারি চালিয়েছে ওই ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’ বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী রণতরীটি।
মার্কিন নৌসেনার অ্যাডমিরাল জন রিচার্ডসন জানিয়েছেন, জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। এই দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। প্রায় ৫০৫ ফুট লম্বা এই ডেস্ট্রয়ারটি জাপানের ইওকসুকা বন্দরে মোতায়েন রয়েছে। ওই এলাকায় লালফৌজের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাত জাহাজটি। উল্লেখ্য, এ নিয়ে দু’মাসে দ্বিতীয় দুর্ঘটনার সন্মুখীন হল ‘সেভেন্থ ফ্লিটের’ রণতরী। এর আগে ‘ইউএসএস ফিৎজেরাল্ড’ নামের একটি ডেস্ট্রয়ারের সঙ্গে টক্কর হয় একটি তেলবাহী জাহাজের। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাত মার্কিন নাবিকের। দক্ষিণ-চিন সাগর নিয়ে চিন ও আমেরিকার মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে সংঘাতের সম্ভাবনা। এমন পরিস্থিতিতেই উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.