সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দেশেরই অন্যতম মাথা ব্যথার কারণ চিন৷ দিন দিন গোপনে যেভাবে সামরিক সরঞ্জাম বাড়িয়ে চলেছে বেজিং, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত ও আমেরিকা৷ এখনই প্রতিহত করতে না পারলে, ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা করছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন৷ এমত পরিস্থিতিতে তিন দিনের জন্য ভারত সফরে আসছেন আমেরিকার নৌবাহিনীর প্রধান জন রিচার্ডসন। সূত্রের খবর, রবিবার ভারতীয় নৌসেনা প্রধান সুনীল লাম্বার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি৷
[ আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মধ্যেই চাঁদে মানুষ পাঠাবেন বেজোস]
জানা গিয়েছে, এই বছরে এটা রিচার্ডসনের দ্বিতীয় ভারত সফর। মে মাসের ১২ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত তিনি ভারতে থাকবেন। দক্ষিণ চিন সাগর ঘিরে প্রতিনিয়ত চিনের শক্তিপরীক্ষাকে বন্ধ করার উপায় বের করতেই রিচার্ডসনের ভারত সফর। এমনটাই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। আরও জানা গিয়েছে, ২০১৯-এ আমেরিকায় নৌসেনার অনুষ্ঠানে ফিলিপিন্স এবং জাপানের পাশাপাশি অংশ নেবে ভারতও। আমেরিকার নৌবাহিনী লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, “দু’দেশের নৌসেনার মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই এই সফর। জন রিচার্ডসন এই সফর নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী।”
[ আরও পড়ুন: ভারতে ‘রুহ আফজা’র অভাব, সরবরাহের প্রস্তাব দিয়ে হাত বাড়াল পাকিস্তান ]
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য আটকাতে চেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এক দিকে আমেরিকা, অন্য দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পাশে নিয়ে অনেক দিন থেকেই চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মালাবার নৌ-মহড়া ছাড়া হাতেকলমে সমুদ্র সক্রিয়তা কিছু দেখা যায়নি সাউথ ব্লকের পক্ষ থেকে। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কৌশলগত সহযোগিতার দরজা খোলা হয়েছে আমেরিকার সঙ্গে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র জানাচ্ছে, লাম্বার জানিয়েছেন, এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ উল্লেখ্য, মাঝে মাঝেই দক্ষিণ চিন সাগরে মুখোমুখি চলে আসে চিন ও মার্কিন নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে অনেকদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে৷ কখনও চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে আমেরিকা৷ চিনের এই ব্যবহারকে অপেশাদার কার্যক্রম বলে সমালোচনা করছে তাঁরা৷ পালটা তোপ দাগছে চিনও৷ তাঁদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.