এবার আমেরিকার নাম করে সতর্ক করলেন পুতিন।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরিয়ায় টোমাহক মিসাইল ছোড়ায় আমেরিকাকে তুলোধোনা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর অভিযোগ, সিরিয়ার শায়রত বিমানঘাঁটিতে মিসাইল ছুড়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ওয়াশিংটন।
গত ৬ এপ্রিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ার সরকারি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ৫৯টি টোমাহক ত্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে আমেরিকা। ইদলিব প্রদেশে বিষ গ্যাস হামলায় নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করায় সিরিয়াকে ‘শিক্ষা’ দিতেই ওই হামলা বলে দাবি করেন ট্রাম্প৷ সিরিয়ার স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নতজানু করতে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোরও নির্দেশ দেন তিনি৷ আমেরিকার এই পদক্ষেপের প্রশংসাই করেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ অল্যাদঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
সিরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই আসাদকে বাঁচাতে আসরে নামে রাশিয়া ও ইরান৷ শিয়া মতাবলম্বী আসাদকে বাঁচাতে আমেরিকার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের হুমকি ছুড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী শিয়া মুসলিম রাষ্ট্র ইরান৷ ইরান মদতপুষ্ট হিজবুল্লা জঙ্গি গোষ্ঠী, লেবানন এবং রাশিয়াও সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘অনিবার্য সংঘাত’-এ যাওয়ার চরম হুমকি দিয়েছে৷ ক্রেমলিনের হুঁশিয়ারি, “এখনই সংযত হোক আমেরিকা৷ না হলে যে কোনও খারাপ কিছু মুখোমুখি হওয়ার জন্য তৈরি থাকুক৷”
এবার একটি রুশ চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে পুতিন বললেন, “সিরিয়ার সরকার যে ইদলিব প্রদেশে রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তার কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু আমেরিকা যে সিরিয়ার সরকারি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, তার প্রমাণ রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “কোথায় প্রমাণ মিলেছে যে প্রেসিডেন্টের নির্দেশে সিরীয় সেনা রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে? কোনও প্রমাণ নেই। আর আমেরিকা যে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে, তার ফল কী হবে? ন্যাটো জোটের কী বক্তব্য এক্ষত্রে?”
মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি জেমস ম্যাটিস অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে সিরীয় সরকারই ইদলিবে বিষ গ্যাস হামলা চালিয়েছে। অবশ্য নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। সিরিয়ায় আসাদের সরকার পাল্টা আমেরিকাকে হুমকি দিয়ে জানিয়ে রেখেছে, “টোমাহক ছুড়ে আমেরিকা একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন মূর্খের মতো কাজ করেছে৷ সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে মার্কিন নৌ ও বিমানবাহিনীকে৷ আমেরিকা যেন মনে রাখে সিরিয়া ইরাক বা আফগানিস্তান নয়৷” এর পাশাপাশি, সিরীয় সরকার এও জানিয়েছে যে কোনওরকম বিষ গ্যাসের পরীক্ষা ইদলিব প্রদেশে করেনি সরকারি বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.