Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ মেটান, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে দিল্লি-ঢাকাকে বার্তা আমেরিকার!

সোমবার ঢাকায় গিয়েছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি।

US message to India and Bangladesh

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:December 11, 2024 9:09 pm
  • Updated:December 11, 2024 9:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে চরমে সংখ্যালঘু নির্যাতন। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে পড়শি দেশের। বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরির ঢাকা সফরের পরেও বদলায়নি পরিস্থিতি। প্রতিদিনই হিন্দুদের উপর হামলার খবর প্রকাশ্যে আসছে। এই প্রেক্ষিতে দিল্লি-ঢাকাকে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ মেটানোর বার্তা দিল আমেরিকা। 

সোমবার ঢাকায় গিয়েছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ও বিদেশ সচিব জসীমউদ্দিন ও বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। আলোচনায় হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মিসরি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ সচিবের এই ঢাকা সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে। সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সংশ্লিষ্টরা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মতবিরোধ দূর করুক।’

Advertisement

বলে রাখা ভালো, লাগাতার প্রতিবাদ হলেও বাংলাদেশে এখনও জেলবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর আইনজীবীও। ক্রমাগত হামলা চালানো হচ্ছে মন্দিরে। ভারতীয় হিন্দু জানলে দ্বিগুণ হচ্ছে অত্যাচার। কয়েকদিন আগে অশান্ত পরিস্থিতি নিয়েই মুখ খোলেন মার্কিন আইন প্রণেতা ব্র্যাড শেরম্যান। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব সকল নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার। বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে হিংসার ঘটনা ঘটছে সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। হিন্দুদের উপর হামলায় আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুবিরোধী ঘটনা রুখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’ এর আগে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ইউনুস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আলোড়ন তৈরি করেছে বিশ্বমঞ্চে। হিন্দুদের রক্ষা করতে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে ব্রিটেনও। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ঢাকায় থাকা নাগরিক সতর্ক করেছে সেদেশের প্রশাসন। এর মাঝেই নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য। ফলে সবদিক থেকে সাঁড়াশি চাপে ইউনুস সরকার। আর বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। ঢাকার সঙ্গে বন্ধুত্ব মজবুত করতে মরিয়া ইসলামাবাদ। সুযোগ হাতছাড়া করছে না চিনও। জামাতের মতো মৌলবাদী দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন চিনা ইয়াও ওয়েন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement