সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে আলোচনার পথে হাঁটুক ইউক্রেন, চাইছে আমেরিকা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) গদিচ্যুত না হওয়া অবধি আলোচনার টেবিলে বসতে নারাজ জেলেনস্কির দেশ। ওয়াশিংটন পোস্ট সূত্রে খবর, ইউক্রেনকে এই অবস্থান থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। যদিও পুরো প্রক্রিয়াটাই হয়েছে অত্যন্ত গোপনে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে।
রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের (Ukraine) গত ৮ মাসের সংঘর্ষে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দু’দেশের। বিশ্বজুড়ে বেড়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। কোন দেশের পক্ষ নেওয়া হবে, এ নিয়ে কার্যত দুভাগে বিভক্ত অন্যান্য দেশগুলি। বেড়েছে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কাও। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতেও আঁচ পড়েছে যুদ্ধের। কিয়েভের (Kyiv) আরজিতে সাড়া দিয়ে মানবিকতার খাতিরে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা (America) ও ইউরোপের বহু দেশ। অস্ত্র ও আর্থিকভাবে যুদ্ধবিধস্ত দেশটিকে সাহায্য করছে তারা।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এর ফলে সে দেশগুলির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে এই সহায়তা নিয়ে আমেরিকার অন্দরেই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এমনিতেই মুদ্রাস্ফিতীতে জেরবার বাইডেনের দেশ। এমতবস্থায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে (Ukraine-Russia War) অতিরিক্ত অর্থসাহায্য বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করছেন সে দেশের বহু জনপ্রতিনিধি। এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত খবরটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে এবিষয়ে আমেরিকার সাফাই একেবারে অন্যরকম। তাদের তরফে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন আলোচনা দরজা বন্ধ করে রাখার ফলে আন্তর্জাতিকস্তরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ইউক্রেনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই আমেরিকার পরামর্শ, রাশিয়ার জন্য আলোচনার দরজা খোলা রাখুক কিয়েভ। আটমাসব্যাপী সংঘর্ষ থামাতে আলোচনায় বসুক দুই দেশ, এমন আরজি জানিয়েছিলেন ভারতও। সংবাদসংস্থা রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার তরফে হতাহাতের সংখ্যা ১ লক্ষ। প্রাণ হারিয়েছেন ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকও।
এদিকে দুদেশের জন্যই কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন (Kherson) থেকে সেনা সরাচ্ছে রাশিয়া। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দক্ষিণ ইউক্রেনের এই শহরটি দু’দেশের কাছে কৌশলগত কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও এখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে রাশিয়া। এপ্রসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেউ সইগু জানিয়েছেন, এবার থেকে রুশ সেনা দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম পাড় থেকে কাজ করবে। যদিও রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি সর্বতভাবে সত্য নয় বলে দাবি ইউক্রেনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.