Advertisement
Advertisement
তিব্বত

তিব্বতকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দিতে বিল পেশ মার্কিন কংগ্রেসে, চাপে চিন

স্বেচ্ছানির্বাসিত তিব্বতি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই পদক্ষেপ তীব্র উত্তেজনা তৈরি করেছে।

US lawmaker introduces bill to recognize Tibet as independent country
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 28, 2020 1:22 pm
  • Updated:May 28, 2020 1:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের উপর চাপ ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে আমেরিকা। বাণিজ‌্য যুদ্ধ দিয়ে শুরু হয়ে করোনা আবহে তা তীব্র হয়েছিল। এরপর তাইওয়ান, হংকং নিয়ে টানাপোড়েন আরও বেড়েছে। এবার সম্ভবত তা চরম সীমায় নিয়ে গেল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন কংগ্রেসে বিল পেশ করেছেন সদস‌্য স্কট পেরি। যা পাশ হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের অধীনে থাকা স্বায়ত্তশাসিত তিব্বতকে ‘স্বাধীন দেশ’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পাবেন। উল্লেখ‌্য, চিন কোনওদিনই তিব্বতের আলাদা অস্তিত্ব স্বীকার করে না। কখনও চিন সরাসরি, কখনও ব্রিটিশরা তিব্বতের উপর পরোক্ষে প্রভুত্ব করেছে। কিন্তু সেটা ঔপনিবেশিক যুগে। ১৯১২-তে ত্রয়োদশ দলাই লামা শেষবার তিব্বতকে স্বাধীন রাজ‌্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৫৯ সালের ২১ মার্চ চিন গায়ের জোরে তিব্বতের দখল নেয়। যদিও তাকে মান‌্যতা না দিয়ে দলাই লামা ভারতে বসে নির্বাচিত তিব্বতি সরকার পরিচালনা করে চলেছেন। তা নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে দ্বন্দ্বও নতুন নয়। সেই আবহেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ চিনকে যথেষ্ট চাপে ফেলে দিল।

[আরও পড়ুন: লাদাখ সীমান্তে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে চিনা যুদ্ধবিমান, উপগ্রহ চিত্রে প্রকাশ্যে ‘ড্রাগনে’র অভিসন্ধি]

পেনসিলভানিয়ার রিপাবলিকান মার্কিন কংগ্রেস সদস‌্য স্কট পেরি প্রাক্তন সামরিক কর্মী। কয়েকদিন আগে হংকং-কে স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে একই ধরনের বিল পেশ করেছিলেন। ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যেই দু’টি বিল হাউসের বৈদেশিক বিশয় সংক্রান্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র‌্যাট, দু’টি প্রধান রাজনৈতিক দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে বেজিংয়ের প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর অভিযোগ তুলেছে। তাই সেই অভিযোগ খণ্ডন করতে চিনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চাপ বাড়ছে ট্রাম্প প্রশাসনের উপর। প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের আগে বিল দু’টি মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সেনেটে পাশ করাতে হবে। যদিও তা হলে যে বিরাট কিছু হেরফের হবে, তা নয়। কিন্তু আমেরিকার এই পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও তিক্ততা তৈরি করবে।

Advertisement

বিদেশে স্বেচ্ছানির্বাসিত তিব্বতি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই পদক্ষেপ তীব্র উত্তেজনা তৈরি করেছে। কূটনীতিকরা এই পদক্ষেপকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নন। কিন্তু তিব্বতিরা টুইট করে জানিয়েছে, ‘দারুণ পদক্ষেপ। আজ হোক বা কাল, এটা হবেই। শুধু স্বায়ত্তশাসিত এলাকা নয়, গোটা তিব্বতকেই এই বিলের অন্তর্ভুক্ত করুন স্কট পেরি। খাম এবং আমদো যুক্ত হয়ে স্বাধীন, পৃথক তিব্বত গঠিত হোক।’ তাঁরা জানান, তিব্বত ও পূর্ব তুর্কস্তানকে স্বীকৃতি দিতে চিনকে এর চেয়ে বড় হুঁশিয়ারি আর হয় না। মার্কিন পদক্ষেপে উৎসাহিত উইঘুর মুসলিমরাও। তাঁদের হয়েও সওয়াল করতে আমেরিকাকে আরজি জানিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ‌্য, হাউসের স্পিকার ন‌্যান্সি পেলোসি ক‌্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র‌্যাট। তিব্বতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর কয়েক দশকের গভীর সম্পর্ক। আর্থিক সমৃদ্ধির পথে চলতে গিয়ে তিব্বত ইস্যুর রাজনৈতিক তাৎপর্য ভুলতে বসেছিল ওয়াশিংটন। আমেরিকায় দলাই লামা শ্রদ্ধেয় ব‌্যক্তিত্ব হলেও বহু বছর পর এই প্রথম কোনও প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব স্বাধীন তিব্বতের দাবিতে কোনও পদক্ষেপ করলেন।

[আরও পড়ুন: করোনার ভয়াবহতায় অসহায় আমেরিকা, মাত্র তিন মাসে মৃত্যু ছাড়াল ১ লক্ষ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement