Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hijab

হিজাব পরতে অস্বীকার সাংবাদিকের, সাক্ষাৎকার দিলেন না ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি

হিজাব বিতর্কে অগ্নিগর্ভ ইরান।

US journalist denied interview with Iran President for not wearing hijab
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 24, 2022 8:29 am
  • Updated:September 24, 2022 8:29 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিতর্কে অগ্নিগর্ভ ইরান। পথে নেমে নীতি পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির (Mahsa Amini) হত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মুসলিম দেশটির মহিলারা। এহেন পরিস্থিতে বিতর্ক আরও উসকে দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। হিজাব পরতে অস্বীকার করায় কথা দিয়েও সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিলেন না তিনি।

বুধবার (স্থানীয় সময় মতে) CNN-এর আন্তর্জাতিক খবর বিভাগের প্রধান সঞ্চালিকা ক্রিস্টিয়ানে আমানপউরের সঙ্গে নিজের পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকার বাতিল করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এদিন নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি আমানপউরকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ছিল রাইসির। জানা গিয়েছে, সাক্ষাৎকার শুরু হওয়ার আগে আমানপউরকে প্রেসিডেন্টের এক সঙ্গী জানান, সাক্ষাৎকার চলাকালীন তাঁকে হিজাব পরার অনুরোধ জানিয়েছেন রাইসি (Ebrahim Raisi)। আর এতেই চটে যান সঞ্চালিকা। নম্র কিন্তু দৃঢ়ভাবে তিনি জানান, এই অনুরোধ রাখা সম্ভব নয়। তারপরই রাইসি জানান, তিনি সাক্ষাৎকার দেবেন না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মদিনায় মিলল সোনার খনি, মাটির তলায় লুকিয়ে বিপুল গুপ্তধন!]

এই বিষয়ে আমানপউর জানান, সাংবাদিক হিসেবে ইরানে গেলে তাঁকে হিজাব পরতে হয়। কারণ, এটাই সে দেশের নিয়ম। এর অন্যথায় সেখানে কাজ করতে দেওয়া হয় না। তবে যে দেশে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়, সেখানে ইরানের কোনও আধিকারিকের সাক্ষাৎকার নিতে হিজাব পরবেন না তিনি। টুইটারে আমানপউর লিখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইরানের (Iran) প্রেসিডেন্টের এটা প্রথম সাক্ষাৎকার হতে চলেছিল। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় অংশ নিতে নিউ ইয়র্কে আছেন৷ প্রায় এক সপ্তাহের পরিকল্পনা এবং ৮ ঘণ্টা ধরে স্টুডিওয় প্রস্তুতির পর আমরা সাক্ষাৎকারের জন্য তৈরি ছিলাম। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট রাইসির কোনও পাত্তা পাওয়া যায়নি।” উল্লেখ্য, ইরানের রাজধানি তেহরানে নিজের শৈশব কাটিয়েছেন আমানপউর। ফার্সি ভাষায় তাঁর দখল যথেষ্ট।

উল্লেখ্য, মহিলাদের জন্য কঠোর পোশাক বিধি রয়েছে ইরানে। ওই আইনে বয়স সাত বছরের বেশি হলে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট নিয়মে পরতে হয় হিজাব। ‘নীতি পুলিশের’ দল হিজাব বিধি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কিনা তা তদারকি করে থাকে। মনে করা হচ্ছে, বছর বাইশের মাহসা আমিনিকে নীতি পুলিশের অভিযোগেই গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, মাহসাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি তরুণীকে মারধর করা হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের পরেই অসুস্থ হন তিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর কোমায় চলে যান। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

[আরও পড়ুন: অধিকৃত ইউক্রেনে গণভোট শুরু রাশিয়ার, পর্তুগালের সমান ভূখণ্ড হাতছাড়া কিয়েভের!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement