সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কে নয়া পদক্ষেপ করল আমেরিকা। এবার দ্বীপরাষ্ট্রটির কুটনীতিবিদ ও আমলাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনার দ্বার আরও প্রশস্ত করল ওয়াশিংটন।
শুক্রবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আমরা নতুন নির্দেশিকা জারি করেছি। এর ফলে সে দেশের কুটনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা আরও চওড়া হবে। যদিও সরকারিভাবে দুই দেশের সম্পর্ক স্বীকৃত নয়। এই নয়া পদক্ষেপের ফলে আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।” প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এবার ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানের বিরুদ্ধে বেজিংয়ের আগ্রাসী নীতির প্রতিবাদে সরব হয় ওয়াশিংটন। লালফৌজকে কার্যত যুদ্ধের হুমকি দিয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ফিলিপিন্সের সেনাবাহিনী, জাহাজ বা বিমানের উপর হামলা হলে চুক্তি মেনে বন্ধু দেশটির পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা দক্ষিণ চিন সাগরে ফিলিপিন্সের উপর হামলা হলে প্রতিরক্ষা চুক্তি মেনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালাবে মার্কিন সেনা।” তাঁর এই হুমকি যে চিনের দিকেই তা স্পষ্ট করে প্রাইস আরও বলেন, “হোয়াইটসান রিফের কাছে চিনা মিলিশিয়ার উপস্থিতি নিয়ে ফিলিপিন্স ও আমেরিকা দুই দেশই উদ্বিগ্ন।” একইভাবে, তাইওয়ানকেও আর্থ-সামাজিক ভাবে রক্ষা করতে তারা দায়বদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রাইস। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অভিযোগ করেছে, খুব সম্প্রতি তাদের আকাশপথে ১৫টি চিনা বিমান বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়েছিল যার মধ্যে ১২টি যুদ্ধবিমান।
সম্প্রতি, আগামী বছর ছয়েকের মধ্যেই তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চিন দাবি করেছেন এক শীর্ষ মার্কিন সেনাকর্তা। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মার্কিন সেনাকর্তা অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসনের বক্তব্য, “২০৫০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো ক্ষমতা অর্জন করতে চায় চিন (China)। তারা আন্তর্জাতিক আইন সেই অর্থে মানে না। এই বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমার মনে হয়, আগামী ছয় বছরের মধ্যে তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চিন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.