সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় (Gaza) কত বোমা ফেলেছে ইজরায়েলি সেনা? চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান প্রকাশ করল মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ। সেখানে বলা হয়েছে, প্রায় ৪৫ শতাংশ বোমাই নির্দিষ্ট হিসেবনিকেশ না করেই ফেলছে ইজরায়েল (Israel) সেনা। ফলে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ইজরায়েলের বোমা ফেলার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। যদিও আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট নিয়ে মুখ খোলেনি ইজরায়েল সেনা।
দুমাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে ভূখণ্ডে। গাজায় সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ইজরায়েল, সেই অভিযোগে উত্তাল আন্তর্জাতিক মহল। ইজরায়েলের ‘পাশে থাকা’ আমেরিকার দিকেও আঙুল উঠেছে। এহেন পরিস্থিতিতেই মার্কিন (USA) গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাদের দাবি, ইজরায়েলের রণনীতির কারণেই সাধারণ মানুষের মৃত্যুমিছিল অব্যাহত।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৯ হাজার বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। তার মধ্যে অন্তত ৪৫ শতাংশই হল ‘ডাম্ব বম্ব’ অর্থাৎ বোকা বোমা। সাধারণত আকাশে উড়তে থাকা যুদ্ধবিমান থেকে এই বোমাগুলো ফেলা হয়। হিসাবের ক্ষেত্রে মাত্র এক সেকেন্ড দেরি হলেও ভুল জায়গায় পড়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে এই বোমাগুলো। ফলে সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া বোমা গিয়ে গিয়ে পড়তে পারে জনবসতির মধ্যে। তার ফলে প্রাণ হারাতে পারেন সাধারণ মানুষ। মার্কিন রিপোর্টে দাবি, এই কারণেই গাজায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবারই বাইডেন বলেন, ইজরায়েলি সেনা নির্বিচারে বোমা ফেলছে গাজায় ।
তবে এই রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি ইজরায়েলি সেনা। মুখপাত্র নির দিনার বলেন, “কী ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছে সেই নিয়ে আমরা কিছু বলব না। তবে আন্তর্জাতিক আইন মেনেই অভিযান চালাচ্ছি আমরা। আমজনতাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে চলেছে হামাস (Hamas)। সাধারণ মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তার জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের যুদ্ধ গাজার মানুষের বিরুদ্ধে নয়, হামাসের বিরুদ্ধে।” তবে এই রিপোর্টের পর আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি আমেরিকা-ইজরায়েল সখ্যে চিড় ধরছে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.