Advertisement
Advertisement

হংকং নিয়ে চিনের উপর চাপ বাড়াতে নয়া আইন আনতে চলেছে আমেরিকা

পালটা হুঁশিয়ারি চিনের।

US House takes hard line on China over Hong Kong
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 16, 2019 10:00 am
  • Updated:October 16, 2019 10:00 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। চিনের উপর চাপ বাড়াতে মঙ্গলবার চারটি নয়া বিল পাশ করল মার্কিন ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’। বেজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলা বাণিজ্যিক লড়াইয়ের আবহে চিনকে বেকায়দায় ফেলতেই হংকং নিয়ে সুর চড়িয়েছে আমেরিকা বলে মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: জঙ্গিদের সাহায্য বন্ধ না করায় ‘আরও বেশি ধূসর’ তালিকাভুক্ত হতে পারে পাকিস্তান]

Advertisement

মঙ্গলবার বেনজিরভাব ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানরা একযোগে ধ্বনিভোটে চারটি বিল পাশ করেন। এরপর সেনেটে বিলগুলি পেশ করা হবে। সেখানে পাশ হলেই তা আইনে পরিণত হবে। পাশ হওয়া বিলগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল- হংকং হিউম্যান রাইটস এণ্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট ও প্রটেক্ট হংকং অ্যাক্ট। প্রথম বিলটিতে বলা হয়েছে যে, হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসনের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়নি তা জানিয়ে প্রত্যেক বছর একটি শংসাপত্র দেবেন মার্কিন বিদেশসচিব। ওই শংসাপত্র ছাড়া হংকংকে দেওয়া বিশেষ বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেবে আমেরিকা। বিশ্লেষকদের মতে এই বিলটি আইনে পরিণত হলে, ধাক্কা খাবে চিনের অর্থনীতি। কারণ সরকার নিয়ন্ত্রিত চিনা অর্থনীতির সবটা প্রযোজ্য নয় হংকংয়ের ক্ষেত্রে। ফলে সেখান দিয়েই বিদেশি লগ্নির অনেকটা আসে চিনা বাজারে। কিন্তু আমেরিকা হংকংকে দেওয়া সুবিধা প্রত্যাহার করলে সেই পথ বন্ধ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বিল- প্রটেক্ট হংকং অ্যাক্ট যদি আইনে পরিণত হয় সেক্ষেত্রে হংকংয়ে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এমন কোনও সামগ্রী যা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবহার করতে পারে eই নিষেধাজ্ঞার আওতায় চলে আসবে। ফলে সরঞ্জমের অভাবে ভিড় সামলাতে হংকং পুলিশকে চাপে পড়তে হতে পারে।

এদিকে, আমেরিকার এই পদক্ষেপে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চিন। কার্যত হুমকির সুরে চিনা বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমেরিকার কূট অভিসন্ধি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তলানিতে নিয়ে পারে। এই বিলগুলি যদি আইনে পরিণত হয় তাহলে চিন চুপ করে বসে থাকবে না।’ উল্লেখ্য, বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের দাবি মিটলেও অন্যান্য দাবি না মেটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীর। এবার, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশাসকের চয়ন ও পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন শহরের মানুষ। তবে, গোটা বিক্ষোভকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করছে চিন ও সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলি। হংকংয়ে বিদেশি মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি কাজ করছে বলে অভিযোগ বেজিংয়ের।তবে চিনের অভিযোগে কান দিতে নারাজ আন্তর্জাতিক মঞ্চ।

[আরও পড়ুন: আল্পস পর্বতমালা থেকে উধাও হিমবাহ! সাম্প্রতিক রিপোর্টে মাথায় হাত পরিবেশপ্রেমীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement