সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা দমননীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে হংকং। বহুত্ববাদি শহরটি হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের অপর নাম। গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভে পরিস্থিতি বিস্ফোরক। এহেন উত্তাল সময়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে মার্কিন সংসদে পাশ হল নয়া বিল।
গত মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় ‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট’ বিল। তারপর বুধবার সেটি যায় নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ। সেখানে ৪১৭টি ভোট পেয়ে পাশ হয় বিলটি। এবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সই করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। এই বিলে বলা হয়েছে, হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসনের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়নি তা জানিয়ে প্রত্যেক বছর একটি শংসাপত্র দেবেন মার্কিন বিদেশসচিব। ওই শংসাপত্র না পেলে হংকংকে দেওয়া বিশেষ বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেবে আমেরিকা। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিলটি আইনে পরিণত হলে, ধাক্কা খাবে চিনের অর্থনীতি। কারণ সরকার নিয়ন্ত্রিত চিনা অর্থনীতির সবটা প্রযোজ্য নয় হংকংয়ের ক্ষেত্রে। ফলে সেখান দিয়েই বিদেশি লগ্নির অনেকটা আসে চিনা বাজারে। কিন্তু আমেরিকা হংকংকে দেওয়া সুবিধা প্রত্যাহার করলে সেই পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে, একইসঙ্গে ‘প্রটেক্ট হংকং অ্যাক্ট’ বিলটিও পাশ করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ। এই বিল যদি আইনে পরিণত হয়, সেক্ষেত্রে হংকংয়ে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এমন কোনও সামগ্রী যা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবহার করতে পারে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় চলে আসবে। ফলে সরঞ্জমের অভাবে ভিড় সামলাতে হংকং পুলিশকে চাপে পড়তে হতে পারে। তবে বিলগুলিতে ট্রাম্প আদৌ সই করবেন কি না, তা স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। পাশাপাশি এদিন ‘প্রটেক্ট হংকং অ্যাক্ট’ বিলটিও পাশ করে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ।
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে রোহিঙ্গা মামলা, আইনি লড়াইয়ে নামছেন নেত্রী সু কি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.