সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবগ্গা ও অস্থিরমতি বলে দুর্নাম আছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। যদিও, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সওদা করতে গিয়ে অনেক সময় এই ছবি তাঁকে মদতও করেছে। কিন্তু সোলেমানির হত্যার নির্দেশ দিয়ে রীতিমতো চায়ের কাপে তুফান তুলেছেন তিনি। তাই এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় রাশ টানতে উদ্যোগী মার্কিন কংগ্রেস। ট্রাম্পকে কার্যত ধাক্কা দিয়েই ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’ সাফ বলেছে, প্রেসিডেন্টের মর্জি মাফিক সব হবে না। যুদ্ধ বাধিয়ে পরে ব্যাখ্যা দেওয়া চলবে না। আগাম অনুমতি নিতে হবে।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহেই ‘ওয়ার পাওয়ার রেজলিউশন’ বা ‘যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা’ শীর্ষক প্রস্তাব পাশ করেছে ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’। উল্লেখ্য, ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউসের এই প্রস্তাবে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই। ফলে এক অর্থে প্রেসিডেন্টও তা মানতে বাধ্য নয়। এবার প্রস্তাবটি যাবে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে। সেখানে রিপাবলিকানর সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় প্রস্তাবটি বহুলাংশে প্রতীকী। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বক্তব্য, প্রেসিডেন্টকে বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি ছিল। এই বার্তাটা মার্কিন কংগ্রেসের। উত্তেজনা, হিংসা থামিয়ে ইরানে অবিলম্বে শান্তি ফেরাতে হবে। আগামী দিনে মার্কিন নাগরিক ও মূল্যবোধের অপচয় রুখবে।
এদিকে, এই প্রস্তাবকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্পের কথায়, ডেমোক্র্যাট নেতারা আসলে উস্কানি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে বিতর্কিত কথা বার করতে চাইছেন। ওহাইয়োর নির্বাচনী সভা থেকেই ইরান প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে আমরা তৈরিই ছিলাম। আমরা যুদ্ধ চাই না, তবুও সেদিন জবাব দিতাম। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি দেখেই পালটা হামলা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর জমানায় ইরান একটিও আণবিক বোমা বানাতে পারবে না। এদিকে, হামলা না চললেও মার্কিন সেনঘাঁটিতে হামলার জবাবে ইরানের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.