সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝড়ের আগে প্রকৃতি যেমন থমথমে হয়ে থাকে, কোরীয় উপসাগরের এখন পরিস্থিতি ঠিক তেমনই। আশার আলো একটাই, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকা এখন সরাসরি বার্তালাপ চালাচ্ছে। অন্তত এমনটাই দাবি মার্কিন সচিব রেক্স টিলারসনের। তিনি বলছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার মিসাইল কর্মসূচি নিয়ে গুমোট আবহাওয়ার মধ্যেই পিয়ং ইয়ংয়ের সঙ্গে আমাদের সরাসরি কথাবার্তা চলছে। উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পিয়ং ইয়ং যেন নতুন করে আর মিসাইল দেগে না বসে, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এখন যা পরিস্থিতি, তাকে ‘ব্ল্যাকআউট’ বলে দাবি করছেন টিলারসন। তবে হল ছাড়তে রাজি নয় ওয়াশিংটন। চিন সফরে এক সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন সচিব বলেন, ‘পিয়ং ইয়ংয়ের সঙ্গে তিনটি সরাসরি চ্যানেলের মাধ্যমে আমাদের কথাবার্তা চলছে।’ তবে এত শঙ্কার মধ্যেও উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু শক্তিধর বলে মানতে নারাজ পেন্টাগন। উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিমকেও উৎখাত করার কোনও পরিকল্পনা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের, মার্কিন সচিব সে কথাও স্পষ্ট করেছেন। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য উত্তর কোরিয়ারও সদর্থক পদক্ষেপ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
যুযুধান দুই পক্ষ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে আলাদা করে রেখেছে এই কোরীয় উপসাগর। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে এসেই ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দেন। কিন্তু গত মাসেই অন্তত তিনবার মিসাইল ছুড়ে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে যান কিম। ৩ সেপ্টেম্বর বৃহত্তম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করে ট্রাম্পকে চটান কিম। তার উপর মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন কিম। যার পালটা রাষ্ট্রসংঘে হুঙ্কার ছাড়েন ট্রাম্প। বলেন, চাইলেই উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দিতে পারে মার্কিন সেনা। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি শোনার পরই নিজেদের মিসাইল কর্মসূচিতে খানিকটা রাশ টানে পিয়ং ইয়ং। কিমের এই আচরণকে নিজেদের কূটনৈতিক জয় বলেই দেখছে আমেরিকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.