ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করতে ফের চাপ বাড়াল আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। পুলওয়ামা কাণ্ডে ৪০ সেনার হত্যার দায় স্বীকার করার পর থেকেই ভারতের পাশাপাশি মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার পক্ষে রাষ্ট্রসংঘে সওয়াল করেছিল এই তিন দেশ। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় বাদ সাধে চিন। দু’সপ্তাহ আগে চিন ভেটো দেওয়ায় মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসংঘের কালো তালিকাভুক্ত করার কাজ থমকে যায়। এরপর বুধবার ফের সেই প্রক্রিয়া শুরু করল আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স।
ব্রিটেন ও ফ্রান্সের অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস করিয়ে নেয় আমেরিকা। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী যত্রতত্র ঘুরে বেড়াতে সমস্যায় পড়বে মাসুদ আজহার। সেই সঙ্গে মাসুদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। এর আগেই ফ্রান্স প্রশাসন তাদের দেশে মাসুদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যাতে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেয় সেই কাজও চালাচ্ছে ফ্রান্স।
[আরও পড়ুন: মেহুল চোকসির পাসপোর্ট বাতিল করতে চলেছে অ্যান্টিগা সরকার!]
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নয়া প্রস্তাব পাস করানোর পাশাপাশি মাসুদকে আড়াল করার দায়ে চিন ও পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আমেরিকা। ২০১৬ ও ২০১৭ সালের পর ২০১৯। পরপর তিনবার মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ার কাজে রাষ্ট্রসংঘকে বাধা দিয়েছে চিন। জঙ্গিদমন প্রসঙ্গে ভারতের পাশে থেকে চিনের দ্বিচারিতাকে কটাক্ষ করেন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও। বলেন, “নিজের দেশে লক্ষাধিক মুসলিম নাগরিকের উপর নির্যাতন করে চিন প্রশাসন। কিন্তু জঙ্গিদমন প্রসঙ্গে নির্লজ্জভাবে মুসলিম তোষণ করছে। মুসলিমদের সঙ্গে চিনের এই ভন্ডামি বিশ্ববাসী মেনে নেবে না।”
জইশ-সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে উসকানোর অভিযোগে পাকিস্তানকে বরাবরই দায়ী করে এসেছে ভারত। অভিযোগের পক্ষে প্রমাণস্বরূপ পাকিস্তানের ২২ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি চিহ্নিত করে ভারত। যদিও ভারতের সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছে পাক-প্রশাসন। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, পাক সীমানার অন্তর্গত ওই ২২টি অঞ্চলে কোনও জঙ্গিঘাঁটি নেই।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার জঙ্গি ও যৌথবাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায়। দক্ষিণ কাশ্মীরের কেল্লার এলাকায় এদিন ভোরে শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের গুলি বিনিময়। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান চালায় সিআরপিএফ, সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী। তল্লাশি চালানোর সময় কেল্লারের ইয়ারওয়ানে বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীরা। পালটা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। শুরু হয় তীব্র গুলি বিনিময়। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন সন্ত্রাসবাদীর। গুলির লড়াই থামলে ঘটনাস্থল থেকে তিন জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। হত তিন জঙ্গির পরিচয় শনাক্ত করেছে বাহিনী। তাদের নাম সাজাদ খান্ডে, আকিব আহমেদ দার ও বাসারত আহমেদ মির। এরা প্রত্যেকেই পুলওয়ামার বাসিন্দা। হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তৈবার সংঘবদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য এই তিন জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে আগুন, ঘুমের মধ্যেই দগ্ধ হয়ে স্বামী,স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.