সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন টানাপোড়েনের মধ্যে ফের ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল আমেরিকা। মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষের বিদেশনীতি সংক্রান্ত কমিটির প্রধান এলিয়ট এঞ্জেল (Elliot Engel) সাফ জানিয়ে দিলেন, লাদাখ সীমান্তে চিন যে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। চিনের এই আচরণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কূটনৈতিকভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান না করে, বেজিং যেভাবে পেশিশক্তি প্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে, তা নিন্দনীয়।
“I strongly urge China to respect norms and use diplomacy and existing mechanisms to resolve its border questions with India.”
-Chairman @RepEliotEngel https://t.co/say45WUhBt— House Foreign Affairs Committee (@HouseForeign) June 1, 2020
আমেরিকার হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভের ডেমোক্র্যাট সদস্য এঞ্জেল বলছেন,”ভারত চিন সীমান্তের LAC-তে চিনা আগ্রাসন দেখে আমি উদ্বিগ্ন। চিন আরও একবার প্রমাণ করছে যে, ওরা শুধু প্রতিবেশীদের হেনস্তা করতে চাইছে। কূটনৈতিকভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে চাইছে না। আন্তর্জাতিক আইন মানতে চাইছে না। সব দেশের একই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা উচিৎ। আমরা এমন পৃথিবীতে বাস করি না, যেখানে পেশিশক্তিই শেষ কথা বলে। আমি কঠোরভাবে চিনের কাছে আরজি জানাচ্ছি, তাঁরা যেন কূটনৈতিক আলোচনা, এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে সীমান্ত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৫ দিন ধরে লাদাখে একপ্রকার যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। দু’দেশের তিক্ততা বাড়ছে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোল (LAC) বরাবর অস্ত্র ভান্ডার বাড়াচ্ছে চিন। কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল, প্যাংগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের উচ্চতম বিমানঘাঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম গারি গুনশায় বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চিনা ফৌজ। লাইন অফ কন্ট্রোলের কাছে মোতায়েন বিমানগুলির মধ্যে অন্যতম হল J-11 এবং J-16 ফাইটার। নতুন করে সেখানে টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক, z-20 হেলিকপ্টার ও GJ-2 ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। চিনের এই আগ্রাসী মনোভাবেই তীব্র আপত্তি আমেরিকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.