Advertisement
Advertisement
চিন

ভোটের পর চিন থেকে ভারতে কারখানা সরাতে চায় ২০০ মার্কিন সংস্থা

মার্কিন সংস্থাগুলি ভারতে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের লগ্নি করতে পারে।

US firms to relocate factories from China to India after LS polls
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 21, 2019 9:23 am
  • Updated:May 21, 2019 9:23 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাদের পণ্য উৎপাদনের মূ্‌ল ঘাঁটি চিনে। কিন্তু নানা টানাপোড়েনের জেরে বিরক্ত প্রায় ২০০টি মার্কিন সংস্থা শীঘ্রই সেই সমস্ত কারখানা ভারতে সরিয়ে নিতে চাইছে। কমিউনিস্ট শাসনে থাকা চিনের তুলনায় ভারত তাদের কাছে অনেক বেশি পছন্দের হয়ে উঠেছে। আপাতত ভারতে সাধারণ নির্বাচনের পর্ব চলছে। তা মিটে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হলেই সংস্থাগুলি এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারে। শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান গোষ্ঠী ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র‌্যাটেজিক অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফোরাম (ইউএসআইএসপিএফ) এ কথা জানিয়েছে। কীভাবে ভারতে লগ্নি করা যায়, তা নিয়ে তাদের সঙ্গে সংস্থাগুলি আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউএসআইএসপিএফ-এর প্রেসিডেন্ট মুকেশ আঘি।

[ডাহা ফেল ইমরানের মাস্টারপ্ল্যান, তৈলভাণ্ডারের খোঁজ পেল না পাকিস্তান  ]

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আঘি বলেছেন, নতুন সরকার তৈরি হলে আর্থিক সংস্কার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য তাঁরা সুপারিশ করবেন। গত এক-দেড় বছরে মার্কিন সংস্থাগুলির মনে হয়েছে ই-কমার্স বা ডাটা লোকালাইজেশন ইত্যাদি যে ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির চেয়ে স্থানীয় সংস্থাগুলির স্বার্থ বেশি দেখা হচ্ছে। তাই নানা সংস্কার প্রক্রিয়ায় আরও গতি আনতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। কীভাবে মার্কিন সংস্থাগুলিকে আকৃষ্ট করা যায়, তার নতুন নতুন উপায় ভাবতে হবে। জমি, শুল্ক সমস্যা মিটিয়ে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য আনার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। তাতে যেমন লগ্নি আসবে, তেমনই বহু কাজের সুযোগ তৈরি হবে।

মুকেশ আঘি জানিয়েছেন, ইউএসআইএসপিএফ-এর সদস্য সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাক্তন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি মার্ক লিনস্কট। তাদের আলোচনার ভিত্তিতে কীভাবে ভারত রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হবে। যেমন ভারত ও আমেরিকার মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) করার জন্য তাঁরা প্রস্তাব দেবেন বলে জানিয়েছেন মুকেশ আঘি। বিশেষত চিন থেকে সস্তার পণ্য আসা নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন হলে এই চুক্তির ফলে তা দূর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। চিনা পণ্যের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করতে হবে। মার্কিন সংস্থাগুলি ভারতের বাজারের সুবিধা পাবে। ভারতীয় সংস্থাগুলিও আরও বেশি করে আমেরিকার বাজারে ঢুকতে পারবে। তখন জিএসপি (গরিব দেশকে দেওয়া আমেরিকার বাণিজ্যিক সুবিধা বা জেনারালাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স) নিয়ে আর কোনও বিতর্ক থাকবে না।

আঘি জানান, ভারতে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ তৈরি করতে সদস্য সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে ইউএসআইএসপিএফ একটি কমিটি তৈরি করেছে। তাদের সুপারিশ তৈরি হতে হতে ভারতে নির্বাচনও শেষ হয়ে যাবে। বহু সংস্থা চাইছে ভারতে কারখানা তৈরি করে সেখানে পণ্য বিক্রি করতে। কিন্তু ছোট ছোট সমস্যায় তাদের পরিকল্পনায় বাধা আসতে পারে। তাই আগে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা চাইছে সংস্থাগুলি। সব ঠিক মতো এগোলে মার্কিন সংস্থাগুলি ভারতে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের লগ্নি করতে পারে বলে মনে করছেন আঘি।

[তাজিকিস্তানের জেলে আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ, মৃত ৩২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement