Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uighur

চিনের বন্দিশিবিরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার উইঘুর মহিলারা! উদ্বেগ প্রকাশ আমেরিকার

ফের সামনে এল নির্যাতনের করুণ ও মর্মান্তিক ছবি।

US 'deeply disturbed' by reports of systematic rape of Muslims in China camps | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:February 4, 2021 11:20 am
  • Updated:February 4, 2021 11:20 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর (Uighurs) ও অন্য মুসলিম (Muslim) জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বুধবারই বিবিসির তরফে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চিন। সেই রিপোর্টকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। এর আগেও শোনা গিয়েছিল, মুসলিম মহিলাদের জোর করে অপারেশন করে বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে কিংবা গর্ভপাত করানো হচ্ছে। ফের সামনে এল নির্যাতনের করুণ ও মর্মান্তিক ছবি।

এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় চিনকে একহাত নিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন মুখপাত্রের অভিযোগ, চিনে নিয়মিতই মানবাধিকারকে খুন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ”এমন নৃশংসতা বিবেককে ধাক্কা দেয়।” এর পরিণাম অবশ্যই গুরুতর হবে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও ঠিক কেমন পরিণামের কথা বলতে চাইছেন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে আমেরিকা যে চিনের এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদে অংশীদার হবে তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ওই মুখপাত্র। চিন অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। বেজিংয়ের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বিবিসির রিপোর্টকে ‘ভিত্তিহীন দাবি’ বলে জানিয়েছে। তাঁর আরও দাবি, যে সব ব্যক্তির সাক্ষাৎকার ওই রিপোর্টে উল্লিখিত হয়েছে তাঁরা সকলেই ‘অভিনয়’ করে বানিয়ে কথা বলেছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তান ‘শান্তিপ্রিয় দেশ’! কাশ্মীর ইস্যুতে চাপে পড়ে বার্তা পাক সেনাপ্রধানের]

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চিনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সময়ও এই ইস্যুটি তুলেছিলেন। ট্রাম্প আমলের অনেক অবস্থান থেকে বিডেন প্রশাসন সরে এলেও উইঘুরদের প্রতি চিনের আগ্রাসনের মতো ইস্যুতে যে তারা আগের অবস্থানই বজায় রাখতে চলেছে, তা এদিনের বিবৃতি থেকে বোঝা গিয়েছে। 

যদিও মার্কিন মসনদে বসার পরই ‘চিন নীতি’ সাফ করে দিতে দেখা গিয়েছিল জো বিডেনকে (Joe Biden)।অর্থনৈতিক মঞ্চে চিনের দাদাগিরি রুখতে যে আমেরিকা বদ্ধপরিকর তা তখনই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তারই পাশাপাশি উইঘুর নির্যাতনের মতো বিষয়েও যে বেজিংকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় আমেরিকা তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে জরুরি বৈঠকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement