সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দায় সরব আমেরিকা। এই মর্মে এক বিবৃতি জারি করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চলা নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগও প্রকাশ করেছে মার্কিন বিদেশ দপ্তর।
গত বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রশাসন। তারপরই দ্রুত ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন। সত্তরের দশকে খান সেনার সেই অত্যাচারের নারকীয় অধ্যায় যেন আবার অভিনীত হচ্ছে দেশটিতে। রংপুর, কুমিল্লা, ফেনি-সহ একাধিক জায়গায় ঘরবাড়ি পুড়েছে হিন্দুদের। এহেন ঘটনার প্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের শীর্ষকর্তা বলেন, “ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রত্যেক মানুষের অধিকার। বিশ্বের সকল মানুষের নিরাপদে নিজেদের উৎসব পালনের অধিকার রয়েছে। বিগত দিনে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হওয়া হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে আমেরিকা।”
এদিকে, আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দুদের নেতা প্রাণেশ হালদার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের কাছে হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু উপর চলা নির্যাতন জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলি কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর থেকেই শুরু হয় হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলা। এপর্যন্ত নোয়াখালির ইসকন মন্দিরের এক সদস্য-সহ খুন হয়েছেন চারজন সংখ্যালঘু। পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোরান অবমাননা করে একটি পোস্ট দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়তেই হামলার ঘটনাগুলি ঘটছে। মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর-সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে হাসিনা সরকারের। হামলার ঘটনার পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও বাংলাদেশে থামেনি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, শনিবার রাতে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে হাসিনা সরকারকে খানিকটা কড়া বার্তাই দেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.