Advertisement
Advertisement
Daniel Pearl

ন্যায়বিচার মিলবেই, পাক জঙ্গিদের হাতে নিহত ড্যানিয়েল পার্লের পরিবারকে আশ্বাস আমেরিকার

অভিযুক্তদের পাক আদালত ছেড়ে দিলেও চাপ বজায় রেখেছে আমেরিকা।

US committed to hold accountable those involved in killing Daniel Pearl | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:April 3, 2021 5:21 pm
  • Updated:April 3, 2021 5:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক (Pakistan) জঙ্গিদের হাতে নিহত মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের (Daniel Pearl) পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। জানিয়ে দিলেন নিহত সাংবাদিকের মৃত্যুর ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে বিডেন (Joe Biden) প্রশাসন বদ্ধপরিকর। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আমেরিকা সবরকম চেষ্টা করে যাবে।

গত জানুয়ারি মাসে ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও হত্যায় মূল অভিযুক্ত জঙ্গি ওমর সইদ শেখকে (Omar Sheikh) ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। পাক শীর্ষ আদালতের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় আমেরিকা, ভারত-সহ একাধিক দেশ। এই মাসেই ‘SpyTalk’ নামের এক সংস্থা দাবি করে, সাংবাদিক পার্লের হত্যাকারীদের যে পাক বিচারপতিরা মুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁরা আইএসআই ঘনিষ্ঠ। এই পরিস্থিতিতে এবার মার্কিন বিদেশ সচিব দেখা করলেন নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের সঙ্গে। জানিয়ে দিলেন হাল ছাড়ছেন না তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুড়ঙ্গে নির্মাণকাজ চলাকালীন ঢুকে পড়ল ট্রেন, তাইওয়ানে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৩৬]

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পাকিস্তানে এসেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল। আইএসআই ও আল কায়দার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করছিলেন তিনি। এরপরই তাঁকে অপহরণ করে ওমর। মাথা কেটে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে সে। এর আগে ১৯৯৪ সালে চারজন বিদেশি পর্যটককে অপহরণ করে ওমর। তখন সে কাশ্মীরে ছিল। বিচারে সাজা হয় তার। গাজিয়াবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন জেলে থাকতে হয়েছে তাকে। পরে ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি। ওমর শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তার প্রাণভিক্ষার আরজি মেনে সাজা কমিয়ে সাত বছর করা হয়।

কিছুদিন আগে তাকে ছেড়ে দেওয়ার রায় দিয়েছিল সিন্ধের আদালত। সেই রায়ই বহাল রেখেছে পাক সুপ্রিম কোর্টও। সেই রায়দানের পর থেকেই ক্ষোভপ্রকাশ করে মার্কিন প্রশাসন। পাক বিদেশ সচিব শাহ মাহমুদ কুরেশির সঙ্গে দেখাও করেন মার্কিন বিদেশ সচিব। কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত বদলায়নি ইসলামাবাদ। তবে চাপ বজায় রেখেছে আমেরিকা।

[আরও পড়ুন: ফের মৃত্যুমিছিল মায়ানমারে! জুন্টার গুলিতে প্রাণ হারালেন ৫ গণতন্ত্রকামী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement