সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামরিক শক্তির আস্ফালনে ক্রমশ সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে চিন ও আমেরিকা৷ এমনিতেই দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে৷ তার উপর ক্রমেই বাড়ছে বাণিজ্যিক লড়াই৷ এহেন পরিস্থিতিতে ফের চিনা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
টুইট করে ট্রাম্প সাফ জানিয়েছেন, প্রায় ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চিনা পণ্যের উপর বর্ধিত হারে শুল্ক নির্ধারণ করার কথা ভাবছে প্রশাসন৷ তাঁর অভিযোগ, অনৈতিক ব্যবসায় জড়িয়েছে চিন৷ বিশেষ করে প্রযুক্তির ও পেটেন্ট থাকা পণ্যের ক্ষেত্রে বেজিং আইনের ধার ধারে না৷ এদিকে চিন জনিয়েছে, বৃহস্পতিবার শুল্ক সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসছেন তাঁদের প্রতিনিধি লিউ হে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার মতো এত বড় বাজার হাত ছাড়া করতে চাইছে না চিন৷ তাই ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার পথ খুঁজতে মরিয়া জিনপিং প্রশাসন৷ তবে চিন সাফ জানিয়েছে শুল্ক যুদ্ধে পালটা মার দিতে মার্কিন পণ্যের উপরও কর চাপাতে দ্বিধা করা হবে না৷
উল্লেখ্য, এশিয়া মহাদেশ ও বিশ্বে মার্কিন একাধিপত্যকে ক্রমেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে চিন৷ এর জন্য গোপনে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বানাচ্ছে চিনা নৌবাহিনী, যা আয়তনে আড়াই খানা ফুটবল মাঠের সমান। এটিই হবে চিনের বৃহত্তম এবং তৃতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। জাপান, ভারত ও আমেরিকার সামরিক জোটকে টেক্কা দিতে ও সমুদ্রে একাধিপত্য বজায় রাখতে এই সুবিশাল নয়া রণতরী তৈরি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। একটি মার্কিন উপগ্রহের চিত্রে ওই চিনা রণতরী তৈরির প্রস্তুতির ছবি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)। মার্কিন উপগ্রহের তোলা ছবি দেখিয়েছে, সাংহাই থেকে কিছুটা দূরে জিয়াংনান শিপইয়ার্ডে একটি বিশাল জাহাজে ওই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বানানোর কাজ গত ৬ মাসে আরও গতি পেয়েছে। লালফৌজ বা চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সরকারিভাবে কিছুই জানায়নি। তবে মার্কিন সামরিক সদর দপ্তর পেন্টাগন গত সপ্তাহে জানিয়েছে, চিন যে গোপনে ওই সুবিশাল রণতরী বানাচ্ছে, সম্প্রতি সে ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।
The United States has been losing, for many years, 600 to 800 Billion Dollars a year on Trade. With China we lose 500 Billion Dollars. Sorry, we’re not going to be doing that anymore!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) May 6, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.