Advertisement
Advertisement

কিমের বন্ধু! ট্রাম্প প্রশাসনের কোপের মুখে একাধিক রুশ ও চিনা বাণিজ্যিক সংস্থা

রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চরম শাস্তির মুখে৷

US blacklists Russian, Chinese firms for trading with N Korea
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 17, 2018 12:06 pm
  • Updated:August 17, 2018 12:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিক সাহায্য দিয়েছে বেশ কয়েকটি রুশ ও চিনা বাণিজ্যিক সংস্থা৷ সেই অপরাধে সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা৷ বুধবার এই সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করল মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর৷ নিষেধাজ্ঞা খাঁড়া নেমে এসেছে আমেরিকায় ব্যবসা চালান একাধিক বৃহৎ রুশ ও চিনা ব্যবসায়িক সংস্থার উপরে৷ নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে পিয়ংইয়ং-এর উপরে চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এই পন্থা নিয়েছে ওয়াশিংটন৷ মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল৷

[‘বিশ্বনেতা’র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাশিয়া-আমেরিকা]

Advertisement

জানা গিয়েছে, প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে, চিনা সংস্থা দালিয়ান সান মুন স্টার ইন্টারন্যাশনাল লজিস্টিক ট্রেডিং কোম্পানি, লিয়াঙ্গ ইয়ে ও এসআইএনএসএমএস-এর৷ যারা উত্তর কোরিয়াতে সিগারেট ও অ্যালকোহল রপ্তানি করেছে এবং ব্যবসা করেছে জ্বালানি তেলের৷ যার ফলে গত বছরে পিয়ংইয়ং-এর আয় হয়েছে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ একই ভাবে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে রুশ সংস্থা প্রফিনেটকে৷ অভিযোগ, রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা না দিয়ে উত্তর কোরিয়ার বেশকিছু জাহাজে মালপত্র খালাসে সাহায্য করেছে সংস্থাটি৷ জাহাজগুলিতে ভরে দিয়েছে জ্বালানি৷ কেবল সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেই থেমে থাকেনি মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর৷ ষড়যন্ত করার ঘোরতর অভিযোগ এনেছে সংস্থার ডিজি আলেকজান্দ্রোভিচ কোলছানোবের বিরুদ্ধে৷

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রমরমিয়ে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা, বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা ও অন্যান্য ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া৷ সম্প্রতি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ে রাষ্ট্রসংঘ৷ ১৪৯ পাতার রিপোর্টে বলা হয়, জাহাজে করে, সমুদ্র পথে বিভিন্ন দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্য ও কয়লা সরবরাহ করছে পিয়ংইয়ং৷ সকলের অলক্ষ্যে চালাচ্ছে ব্যালিস্টিক মিসাইলের চোরা চালান৷ এমনকি, সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠকের পরেও গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র ও মিসাইল প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে চলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন৷

[চাপানউতোর মিটিয়ে করমর্দন করবেন পুতিন-কিম, কবে জানেন?]

সূত্রের খবর, ২০১৮-র প্রথম পাঁচ মাসে ৫ লাখ ব্যারেলেরও বেশি পেট্রোলিয়াম কিনেছে কিমের দেশ৷ ৪০টি জাহাজে করে ১২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে এই তেল এসেছে উত্তর কোরিয়ায়৷ কেবল আমদানিই নয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেআইনি রপ্তানিও চালাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ায় সর্বাধিনায়ক৷ রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭-র অক্টোবর থেকে ২০১৮-র মার্চ পর্যন্ত চিন, ভারত এবং অন্যান্য দেশে লোহা ও ইস্পাত সরবরাহ করেছে পিয়ংইয়ং৷ আয় করে ১৪ মিলিয়ন ডলার৷ ঘানা, মেক্সিকো, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়েতে করে বস্ত্র রপ্তানি৷ সেখান থেকে আয় হয় ১০০ মিলিয়ন ডলার৷ এমনকি, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সুদানে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামও চোরাপথে চালান করে কিমের দেশ৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement