সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁকা আওয়াজ নয়৷ সোমবার, জাপানকে লক্ষ্য করে একাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল দেগে তাই প্রমাণ করলেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন৷ ওই ঘটনার জেরেই এবার দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে ‘টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম’ বা থাড মিসাইল মোতায়েন শুরু করল আমেরিকা৷ এই অস্ত্রটি কমিউনিস্ট কোরিয়ার ছোড়া যে কোনও মিসাইল মাঝ আকাশেই ধবংস করে দেবে৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গতকাল রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার অসান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আমেরিকা থেকে এসে পৌঁছয় প্রথম থাড মিসাইল সিস্টেমটি৷
তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘থাড’ মোতায়েন নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়ে এসেছে চিন৷ মঙ্গলবার, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জেং সুয়াং বলেন, কোরিয় উপদ্বীপে ‘থাড’ মোতায়েন করার ফল ভাল হবে না৷ তবে চিনের আপত্তিকে আমল না দিয়ে মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক কমাণ্ডের কর্তা হ্যারি হ্যারিস জানিয়েছেন, যুদ্ধবাজ উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন থেকে সিওলকে বাচাঁতে বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন৷
গতকাল, মোট চারটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। দেশের উত্তর পিয়ংগান প্রদেশের টঙচ্যাং-রি থেকে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ১০০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে জাপান সাগরে বিস্ফোরণ ঘটায়। যুদ্ধবাজ কিম স্পষ্ট জানিয়েছেন যে জাপানের মাটিতে থাকা মার্কিন সেনা ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করেই ছোড়া হয়েছিল মিসাইলগুলি৷ ওই স্থানটি আবার জাপান সীমান্তের খুব কাছেই এবং সে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। যে কারণে চরম উদ্বেগে প্রকাশ করেছে জাপান সরকার। গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। আর সেটা যে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ভালভাবে নেননি, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ থেকেই সেটা স্পষ্ট। যদিও সিওল এবং ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এটি কেবল বার্ষিক মহড়া। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.