সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধ যতই ঘৃণ্য হোক, রাষ্ট্র কি তার জন্য অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে? এই বিতর্ক আজকের নয়। আমেরিকাতেও (US) এই প্রশ্ন উঠেছে বারবার। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আমলে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে এই বিষয়ে। আমেরিকার বিচার বিভাগীয় দপ্তর মৃত্যুদণ্ড (Executions) নিয়ে পর্যালোচনা করছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘বিচার বিভাগকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচার বিভাগীয় পরিকাঠামোয় সকলকে সংবিধানের দেওয়া মার্কিন আইনের সুযোগই কেবল দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে তাঁদের বিচার স্বচ্ছ ও মানবিক ভাবে করা হচ্ছে।’’
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এবছরের গোড়ায় ট্রাম্প সরকারের বিদায়ের আগে পর্যন্ত আমেরিকায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। উনবিংশ শতাব্দীর সময় থেকে আর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমলে এত অল্প সময়ে এতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি।
ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী প্রচারে জো বাইডেন দাবি করেছিলেন তিনি ক্ষমতায় এলে মৃত্যুদণ্ডে রদে আইন করার দিকে অগ্রসর হবেন। এবার মৃত্যুদণ্ড সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত থেকে পরিষ্কার, সম্ভবত সেদিকেই এগতে চলেছে আমেরিকা।
ইতিমধ্যেই ‘ফেডেলার ক্যাপিটাল হাবিস প্রোজেক্ট’-এর প্রধান রুথ ফ্রিডম্যান এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সঠিক অভিমুখে প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। বিচার বিভাগের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমস্ত মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেওয়া উচিত।’’ অন্যথায়, তাঁর মতে, গত বছর যেভাবে ‘অযৌক্তিক রক্তক্ষরণ’ দেখা গিয়েছিল, অচিরেই তার পুনরাবৃত্তি হতেই পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে পর্যালোচনা করেছেন বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডের রায়দানের পদ্ধতিগুলির বিষয়ে। কোনও নিরপরাধ ব্যক্তির যাতে মৃত্যুদণ্ড না সেবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৪৬ বন্দির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ স্থগিত রয়েছে। এঁদের মধ্যে ২০ জন শ্বেতাঙ্গ, ১৮ জন কৃষ্ণাঙ্গ, সাতজন লাতিন ও একজন এশিয়ান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.