সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেরনোবিল দুর্ঘটনার কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠে গোটা বিশ্ব। আণবিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন যে কতটা ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনতে পারে তা দেখিয়ে দেয় ওই ঘটনা। এবার ফের তেমনই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে চিনের (China) একটি পারমাণবিক কেন্দ্রকে নিয়ে বলে খবর।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে সিএনএন দাবি করেছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে চিনা পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে ফরাসি পারমাণবিক সংস্থার সতর্কবার্তা পেয়েই তৎপর হয়েছে আমেরিকা। চিনের গুয়াংডং প্রদেশের তাইশান পারমাণবিক কেন্দ্রে ঠিক কী ঘটেছে, সেখান থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের সম্ভাবনা ঠিক কতটা, সে সব নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজ করা শুরু করে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বলে রাখা ভাল, চিনের তাইশান পরমাণু কেন্দ্রে ফরাসি সংস্থা ফ্রামাটোনেরও অংশীদারী রয়েছে। প্লান্টে যান্ত্রিক গলদ এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে তারাই আমেরিকার দ্বারস্থ হয়। সূত্রের খবর, বিষয়টি এখনও বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছয়নি বলেই মত মার্কিন বিশেষজ্ঞদের। আপাতত যে পরিমাণের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটছে তাতে কেন্দ্রটির কর্মী বা চিনা নাগরিকদের বিপদের সম্ভাবনা সেই অর্থে নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, ফরাসি সংস্থার সরাসরি আমেরিকার কাছে যাওয়া বেনজির। আর মুখে যতই পরিস্থিটি স্বাভাবিক থাকার দাবি করুক না কেন আমেরিকা, বিষয়টি জটিল কারণ, এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (National Security Council)। পরমাণু কেন্দ্রটিকে নিয়ে ফরাসি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে ওয়াশিংটন বলেও সূত্রের খবর। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লোকসানের ভয়ে পারমাণবিক চুল্লি যাতে বন্ধ করে দিতে না হয়, তার জন্য তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গমনের ঊর্ধ্বসীমা টানা বাড়িয়েই চলেছিল চিনা সরকার। আর ফলে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যদিও, এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে চিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.