Advertisement
Advertisement

Breaking News

New Orleans

আমেরিকায় জঙ্গি হানায় মৃত বেড়ে ১৫, ইসলামিক স্টেটের ‘লোন উলফ’ জাব্বার ছিল সেনাকর্মী!

নিউ অর্লিন্সের বোরবন স্ট্রিটে বর্ষবরণের উৎসবে সন্ত্রাসী হামলা হয়।

US Army Veteran Ran Through Crowd With Truck, Killing 15 in New Orleans
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 2, 2025 11:56 am
  • Updated:January 2, 2025 12:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকায় জঙ্গি হানায় মৃত বেড়ে ১৫। যে নিউ অর্লিন্স শহর নতুন বছরের সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিল, সেই শহরের বাতাসই এখন ভারী। চারদিকে স্বজনহারা কান্না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু। জানা গিয়েছে, শামসুদ্দিন জব্বর নামে এক প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্মীই গতকাল হামলা চালিয়েছিল। এদিন সে ট্রাক নিয়ে উৎসবের ভিড়ে ঢুকে পিষে দেয় বহু মানুষকে। এলোপাথারি গুলিও চালায়। কিন্তু পালটা পুলিশের গুলিতে নিহত হয় জাব্বার। এই ঘাতকের গাড়ি থেকে মেলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকাও। ফলে তদন্তকারীদের অনুমান, হামলাকারী আইএসের ‘লোন উলফ’। 

স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে নিউ অর্লিন্সের বোরবন স্ট্রিটে বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন সকলে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, এদিন ভিড়ের মধ্যে একটি ট্রাক হঠাৎই ঢুকে পড়ে। রাস্তায় বহু মানুষকে পিষে দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। অনেকে এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েন। গুলিও চলে। কিন্তু পালাতে পারেনি হামলাকারী। ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসে পরিচয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানায়, হামলাকারীর নাম শামসুদ্দিন জাব্বার।  ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মার্কিন সেনায় কাজ করেছে সে। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানেও মোতায়েন ছিল। 

Advertisement

এই হামলায় ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। সেখানে তাঁর দাবি, ‘শামসুদ্দিন জাব্বারের জন্ম আমেরিকায়, আইটি স্পেশালিস্ট। খ্রিস্টান থেকে মুসলমান হয়েছিলেন। সেনায় যোগ দেওয়ার পর আফগানিস্তানে ডিউটি করেছিলেন। আফগানিস্তানই কি তাঁর মাথা বিগড়ে দিয়েছে? তাও মনে হয় না। তাহলে কী হয়েছিল যে তাঁকে জঙ্গি হতে হল? বছর খানিক হল তিনি মুসলিম এলাকায় ঘর নিয়েছিলেন, সারাদিন ধর্মে বুঁদ হয়ে থাকতেন, পাড়ার মসজিদে অতিরিক্ত যাতায়াত করতেন।’ এখানেই মনে করা হচ্ছে, ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা জাব্বারের মগজধোলাই করেছে। ধীরে ধীরে এই প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্মী হয়ে ওঠেন আইএসের ‘লোন উলফ’! 

কিন্তু কী এই ‘লোন উলফ’? এর মানে একাকী শিকারি। এই পদ্ধতিতে কোনও ব্যক্তি বিশেষকে মগজধোলাই করে একা আত্মঘাতী হামলা চালাতে উৎসাহী করে তোলা হয়। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সরাসরি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে কোনও যোগ থাকে না। ইন্টারনেট বা জেহাদি বইপত্রের মাধ্যমে তার মধ্যে পরোক্ষে ধর্মীয় উন্মাদনা জাগিয়ে তোলা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, লোন উলফ হামলাকারীকে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। সূত্রের খবর, বড়সড় নাশকতা ঘটানোর পর বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক ছিল আব্বাসের। ফলে তার ‘শিষ্য’রা জঙ্গি কার্যকলাপে ধরা পড়লেও সংগঠনের ‘উঁচুস্তরে’র নেতাদের গায়ে কোনও আঁচ লাগত না। শুধু তাই নয়, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে অন্যান্য প্রমাণ লোপাট করার ছকও ছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement