সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে জল্পনাটি উসকে দিয়েছিল রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে। তাদের একটি অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়েছিল যে চিনে করোনা ভাইরাসের প্রবেশ ঘটেছে আমেরিকার জন্যই। ডোনাল্ড ট্রাম্পই এই মারণ ভাইরাস সেখানে ঢোকানোর নেপথ্যে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপরই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় আমেরিকার তরফেও। যদিও চিনের তরফে তখন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সেই একই অভিযোগ একটু চড়া সুরে জানানো হল চিনের তরফে। বৃহস্পতিবার রাতে টুইট করে শিং জিনপিং সরকারের এক মুখপাত্র দাবি করলেন, সম্ভবত আমেরিকার সেনাই হুবেই প্রদেশের ইউহান শহরে করোনা ভাইরাস ঢুকিয়েছে। যদিও এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে যখন গোটা বিশ্ব কম্পমান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO)। ঠিক তখনই চিন সরকারের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান টুইট করে অভিযোগ জানান, দুটি দেশের মধ্যে লড়াইয়ের কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে মার্কিন সেনা। এই বিষযে সন্দেহ আরও দৃঢ় হচ্ছে কারণ আমেরিকায় যখন এই ভাইরাস দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে। তখন মার্কিন প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে অনেক অসংগতি রয়েছে। এমনকী এই সংক্রান্ত তথ্য গোপন করারও চেষ্টা করছে। কেউ জানেই না আমেরিকাতে এখনও পর্যন্ত কতজন আক্রান্ত আছেন? তাঁদের যেখানে রাখা হয়েছে সেই সব হাসপাতালের নাম কী? এই বিষয়গুলি নিয়ে তারা কোনও তথ্য না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মার্কিন সেনাই ইউহানে করোনা ভাইরাস ঢুকিয়েছিল। যদি তা না হয়, তাহলে কেন এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনছে না তারা। অবিলম্বে এগুলি প্রকাশ্যে আনা উচিত। এই বিষয়ে গোটা বিশ্বকে সত্য জানানো উচিত।
বৃহস্পতিবার চিনের সরকারি মুখপাত্রের তরফে এই অভিযোগ জানানো হলেও কিছুদিন আগে অন্য কথা বলেছিল চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও প্রিভেনশনের প্রধান। তাঁর দাবি ছিল, ইউহানের বন্য পশুর বাজার থেকেই এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে। তারপরই আস্তে আস্তে তা মহামারির আকার ধারণ করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.