Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sajid Mir

মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত সাজিদ মীরের হদিশ দিলেই কোটি টাকা পুরস্কার, ঘোষণা আমেরিকার

লস্করের এই চাঁই পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ।

Bengali news: US Announces Reward Of Up To $5 Million For Information On 26/11 Attack Mastermind | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 28, 2020 2:09 pm
  • Updated:November 28, 2020 2:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই হামলার (26/11 Mumbai Attack) পর এক যুগ কেটে গিয়েছে। লস্কর-ই-তইবার (LeT) সেই অপারেশনের মূল ম্যানেজার সাজিদ মীরের হদিশ নেই। এবার এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীর খবর দিতে পারলে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)।

ইউএস রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস প্রোগ্রামের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, “২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত পাকিস্তানের লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের সিনিয়র সদস্য সাজিদ মীরের (Sajid Mir) সন্ধান চাই। এই হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কোনও দেশে তার আটক বা গ্রেপ্তারির হদিশ দিতে পারলে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে।” ভারতীয় মুদ্রায় এর আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন : মিসাইল তৈরিতে ইরানকে ‘মদত’, রুশ ও চিনা সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আমেরিকার]

আমেরিকার ওই দপ্তরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মুম্বইয়ে লস্করের হামলার দায়িত্ব ছিলেন সাজিদ মীর। গোটা হামলার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল তার উপর। এই হামলায় অভিযুক্ত থাকার অভিযোগে ২০১১ সালে ২১ এপ্রিল ইলিনয়সের আদালতে সাজিদকে দোষী সাব্যস্ত করে। তার বিরুদ্ধে আমেরিকার বাইরে ভিন্ন রাষ্ট্রের সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ষড়যন্ত্র, হামলার মাল-মশলা জোগানো, সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া, দেশের বাইরে আমেরিকার নাগরিককে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে। এমনকী, হামলার সময় বন্দী মুক্তির বদলে এক হামলাকারীরে ছাড়িয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মীর। মুম্বইয়ের  ভিড়েঠাসা এলাকায় বিস্ফোরণ, হামলার সময় আগুন লাগিয়ে দেওয়া ও গ্রেনেড হামলারও নির্দেশ মীরই দিয়েছিল বলে ওই আদালত জানিয়েছিল। এরপর লস্করের চাঁইয়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২২ এপ্রিলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইলিনয়েসের ওই আদালত। ২০১৯ সালের এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড-এর তালিকায়ও মীরের নাম যোগ হয়।

[আরও পড়ুন : ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে গুপ্তহত্যায় অভিযুক্ত ইজরায়েল, প্রতিশোধের হুমকি তেহরানের]

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে আমেরিকার ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, লস্কর-ই-তইবা সংগঠনে উচ্চপদে রয়েছে মীর। সেখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয় সে। ২০০৫ সাল থেকে আমেরিকার নজরে রয়েছে সাজিদ। সে সময় সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, বিদেশে মগজ ধোলাই, জঙ্গি নিয়োগ, আর্থিক তছরূপ এবং বিদেশে হামলার ছক কষার বিষয় লস্কর সংগঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে মীর। আপাতত সে পাকিস্তানেই (Pakistan) রয়েছে বলে খবর। ভারত একাধিক ডসিয়ার দেওয়ার পরও মীরের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি ইসলামাবাদ। তাদের দাবি, মীর-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণই মেলেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement