ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কর্মসূচির উপর ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু, তাতে কোনও ফল হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবেদনে সাড়া দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। এরপরই তারা নিজেই ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আমেরিকার তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। ইরান যদি রাশিয়া বা চিনের থেকে অস্ত্র কেনার চেষ্টা করে ট্রাম্প প্রশাসন তা আটকে বলেও জানানো হয়েছিল। এবার ইরান (Iran) -কে পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য অভিযুক্ত করে তারা নিজেরাই নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র তৈরির কর্মসূচিতে লাগাম টানার জন্য রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু, তাতে ফল না মেলায় পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত সেদেশের ২৭টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর মার্কিন প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকেও এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের এই বিবৃতির পরেই আমেরিকার স্বরাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার ও অর্থমন্ত্রী স্টিফেন মানুচিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে রাষ্ট্রপতির নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ঘোষণাকে সমর্থন জানান। এপ্রসঙ্গে পম্পেও বলেন, ‘আজ আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা একটি হুঁশিয়ারি বলেই গোটা বিশ্ব বুঝতে পেরেছে। আশা করব অন্যরাও এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করবেন।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে তেহরান চুক্তি হয়। তারপরই ইরানের উপর থেকে উঠে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু, ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে আমেরিকা। এর জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থও হয়েছিল ইরান। কয়েকমাস আগে ইরানের উপর ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের শরণাপন্ন হয় আমেরিকা। কিন্তু, কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ফের জারি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এর জেরে সোমবার আমেরিকা নিজেরাই নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.