সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কটা বহুদিনের। প্রমাণ, পালটা যুক্তি চলছে অন্তত তিনমাস ধরেই। করোনার (CoronaVirus) উৎস ইউহানের গবেষণাগার, এই তত্ত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া আমেরিকা এবার ২০১৮’য় চিনের দূতাবাস কর্তাদের সঙ্গে বিদেশ দপ্তরের আলোচনার একটি অভ্যন্তরীণ ও গোপন কেবল সামনে আনল। তাতে দাবি করা হচ্ছে, ২০১৮ সালেই ইউহানের (Wuhan) ওই গবেষণাগারে গিয়ে মার্কিন দূতাবাসের কর্তারা চমকে গিয়েছিলেন। সেখানে কাজের অনুকূল পরিবেশ তো ছিলই না, উলটে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে বলেও তাঁরা অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন অনেকগুলি ভাইরাস নিয়ে কাজ চলছিল ইউহানের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। ঘটনাচক্রে গত ডিসেম্বরে ইউহানের বাজার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়ায় বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
গত এপ্রিল থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দাবি করে আসছেন, ইউহানের ল্যাব থেকেই করোনা ছড়িয়েছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি নথি দেখেছি। আমি নিশ্চিত, ইউহানের গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছিল। তবে কীভাবে নিশ্চিত হলাম, সেটা জানাতে পারব না। সেটা আমার উচিতও নয়।” একই অভিযোগ করেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। ইউহানের গোপন কেবলে এও অভিযোগ করা হয়েছে, শুধুমাত্র বাদুড়ের শরীর থেকে পাওয়া সার্সের মতো বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করার অনুমতি থাকলেও ইউহানের গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে এমন ধরনের সার্স করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন।যদিও এই তত্ত্বে এখনও সায় দিতে নারাজ বহু মার্কিন গবেষকই।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর হেল্থ সিকিওরিটি’ বিভাগের অধিকর্তা টম ইংলেসবাই বলেছেন, “গবেষণাগার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, এমন দাবি পুরোপুরি মেনে নেওয়ার মতো কিছু ওই গোপন কেবলে নেই। আবার এমন দাবি উড়িয়েও দেওয়া হয়নি। মহামারীর কথা জানা যাওয়ার দু’বছর আগে কেবলটি পাঠানো হয়েছিল। দু’বছরে এই ধরনের ল্যাবে অনেক পরিবর্তন হতে পারে। আমার এখনও ধারণা, গবেষণাগার নয়, প্রাকৃতিক উৎস থেকেই করোনা ছড়িয়েছে। আশা করি চিনের জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা শীঘ্রই বৈজ্ঞানিক ও অন্য সমস্ত তদন্তের ফল প্রকাশ করবেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.