Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘ট্রিপস’ চুক্তিতে হাত পড়লে বাড়তে পারে যক্ষ্মার ওষুধের দাম, প্রশ্নের মুখে রাষ্ট্রসংঘ

চাপে পড়ে নয়া খসড়া প্রকাশের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রসংঘের৷

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 29, 2018 10:36 am
  • Updated:July 29, 2018 10:36 am  

প্রীতিকা দত্ত:  ‘ট্রিপস চুক্তি’-র ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে! প্রতিবাদে সরব দেশ ও বিদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংবাদমাধ্যম৷ তাদের আশঙ্কা, ট্রিপস চুক্তি যদি শিথিল করা হয়, তাহলে যক্ষ্মার জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়বে৷ তখন গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে ওষুধ কিনতে হবে রোগীদের৷ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আর বিনামূল্যে যক্ষ্মার ওষুধ পাওয়া যাবে না৷

[ পাক নির্বাচন কালিমালিপ্ত, ভোটে হেরে সেনা ও ইমরানের বিরুদ্ধে সরব নওয়াজ]

Advertisement

একসময়ে যক্ষ্মা টিবি হলে মৃত্যু ছিল অনিবার্য৷ তবে এখন আর টিবি হলে ভয়ের কিছু নেই৷ চিকিৎসায় রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব৷ তবে আক্রান্তকে শুধু সুস্থ করে তোলাই নয়, বরং রোগটিকেই পৃথিবী থেকে নির্মূল করতে চাইছে রাষ্ট্রসংঘ৷ সময়সীমা ২০৩০৷ এই সময়সীমার মধ্যে টিবি নির্মূল করতে হলে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে?  ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি থেকে এই রোগটিকে কি আদৌও নির্মূল করা সম্ভব? ২৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের দপ্তরে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ-বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা। কিন্তু সেই বৈঠকের খসড়া নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্ব৷

গত ২০ জুলাই একটি খসড়া প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ৷ খসড়ায় নয়ের দশকে স্বাক্ষরিত ‘ট্রিপস চুক্তি’ শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ আর তাতেই প্রতিবাদে সরব দেশ-বিদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংবাদমাধ্যম৷ তাদের আশঙ্কা, ট্রিপস চুক্তি শিথিল হলে, যক্ষ্মার ওষুধের দাম বেড়ে যাবে৷ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ সেদেশে টিবি-র জেনেরিক ওষুধের দাবিতে পথে নেমেছেন কৃষ্ণাঙ্গরা৷ বিষয়টি ভালভাবে নিচ্ছে না ভারতও৷ রাষ্টসংঘে এদেশের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ‘ট্রিপস’কে সামনে রেখে আমেরিকার কোনও নেতিবাচক পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। বস্তুত, শুধু ভারতই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মতোই ব্রাজিল, রাশিয়া, চিনও রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবে বিরোধিতা করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে৷ চাপে পড়ে নয়া খসড়া প্রকাশের কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ৷

কিন্তু, কী এই ট্রিপস চুক্তি? ট্রিপস অর্থাৎ ‘ট্রেড রিলেটেড আসপেক্ট অফ ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস।’ এই চুক্তি অনুযায়ী, যক্ষ্মা নিরাময়ে ব্যবহৃত বিদেশের দামি জীবনদায়ী ওষুধগুলোর তৈরি করা যায় ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশেও৷ ফলে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ পান রোগীরা৷ এখন এই চুক্তি যদি শিথিল করা হয়, বিদেশি তৈরি ওষুধের আর ভারতীয় সংস্করণ তৈরি করা যাবে না৷ ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশে পয়সা খরচ করে যক্ষ্মার ওষুধ কিনতে হবে রোগীদের৷

[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এই প্রথম জয়ী এক হিন্দু প্রার্থী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement