Advertisement
Advertisement

Breaking News

জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের উপর অত্যাচার

চিনে উইঘুর মুসলিমদের উপর অকথ্য অত্যাচার, কড়া পদক্ষেপ আমেরিকার

প্রায় ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে আটক করে রেথেছে চিন।

United States to curb visas for Chinese officials, china opposes move
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 9, 2019 9:39 am
  • Updated:October 9, 2019 9:39 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের উপর চিনের অত‌্যাচার নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। বিশ্বের নানা দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব। এ বার  এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করল আমেরিকা। জিনজিয়াংয়ের উইঘুর ও তুর্কিভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারি চালানোর অভিযোগে চিনের ২৮টি সংস্থাকে  কার্যত কালো তালিকাভুক্ত করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। সরকারের অনুমোদন ছাড়া ওই সংস্থাগুলি আমেরিকার কাছ থেকে পণ্য, পরিষেবা বা প্রযুক্তি কিনতে পারবে না। সোমবার মার্কিন বাণিজ্য দফতরের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অত্যাচার’ চালায় ওই সংস্থাগুলি। এই সংস্থাগুলি চিনের দমন-পীড়ন নীতি এবং উইঘুরদের মতো মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর নজরদারিতে চিন সরকারকে সাহায্য করে। সেই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে ব‌্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের অনুমতি ছাড়া মার্কিন কোনও সংস্থার কাছ থেকে এই চিনা সংস্থাগুলি কিছু কিনতে পারবে না।

[আরও পড়ুন: ‘আমেরিকায় ঢুকলে ৩০ দিনে স্বাস্থ্যবিমা চাই’, ফরমান ট্রাম্পের]

শুধু এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জানানো হয়েছে, চিন যদি জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার না থামায় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের বাসিন্দাদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেবে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব এক বিবৃতিতে বলছেন, চিন জোর করে প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিমকে আটকে রেখেছে। এবং তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার হচ্ছে, তাদের ধর্মীয় স্বত্ত্বা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমেরিকা চিনের শাসকদলের সদস্য এবং সরকারি আধিকারিকদের ভিসা বাতিল করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ, ইমরান সরকারকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি এফএটিএফ-এর]

এদিকে, আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে চিন। প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে চিন যা করছে, তা শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশে করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের এই আতুড়ঘরকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। আর এখানে যা করা হচ্ছে, তা পুরোপুরি চিনের নিয়ম মেনেই হচ্ছে। আমেরিকা যে অভিযোগগুলি তুলছে, তা ইচ্ছাকৃতভাবে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement