সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যু আগামিদিনে আরও সংকট বাড়াবে। বাড়তে পারে আঞ্চলিক সংঘাত। এবার এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘ। সোমবার ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। সীমান্ত এলাকায় অশান্তি বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এই বিষয়ে মায়ানমার সরকারকে সতর্কও করে দিয়েছেন।
[তাড়া করে বেড়াচ্ছে ধর্ষণের আতঙ্ক, রোহিঙ্গাদের জন্য এবার ‘রেপ অ্যালার্ম’]
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগে রাষ্ট্রসংঘ। এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মত তাদের। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের মত, ‘ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে মায়ানমার। তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।” বর্তমানের মানবাধিকার লঙ্ঘন ভবিষ্যতের সংঘাতে পরিণত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে জেইদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, “প্রায় ৭০ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম নিজেদের বাড়ি-ঘর থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা এবং জাতিগত নিধনের কারণেই তাঁদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল।” আগামিদিনেই এই সংকট আরও বাড়বে বলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেইদ রা’দ আল হুসেইন।
ইন্দোনেশিয়ায় তিনদিনের সফরে গিয়ে এদিন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বলেন, “আজকের মানবাধিকার লঙ্ঘন ভবিষ্যতের সংঘাতে পরিণত হবে। এই সংকট দেশে দেশে নড়বড়ে পরিস্থিতি তৈরি করবে। যার প্রভাব আর্থিক থেকে সামাজিকক্ষেত্রে পড়তে বাধ্য।” তিনি বলেন, “গত আগস্টে শুরু হওয়া সংঘাত গত কয়েক দশকে শরণার্থী সংকটকে আরও তীব্র করেছে। বহু বছর ধরে বসবাস করলেও রোহিঙ্গা মুসলিমদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবেই দেখে মায়ানমার। ফলে রোহিঙ্গারা সব ধরনের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।” এটাও আগামিদিনে সংকট বাড়াবে বলে মনে করে রাষ্ট্রসংঘ। সে জন্য মায়ানমার সরকারের আগাম সতর্ক থাকাও প্রয়োজন বলে মনে করে তারা।
[ত্রাণশিবিরে সিঁদুর মুছে নমাজ পড়তে বাধ্য হচ্ছেন হিন্দু রোহিঙ্গা মহিলারা]
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ নিয়ে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে তার প্রভাব আগামিদিনে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় পড়তে বাধ্য। এর আগেও এই ইসু্যতে মায়ানমারকে বারবার সতর্ক করেছে আমেরিকা থেকে রাষ্ট্রসংঘ। কিন্তু, চিনের ‘অঙ্গুলিহেলনে’ কার্যত ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়েই চলছে মায়ানমার সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.