Advertisement
Advertisement

Breaking News

twitter

সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ! টুইটারকে তোপ রাষ্ট্রসংঘের, নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের

বিপদ বাড়ছে মাস্কের।

UN slams Twitter's 'arbitrary' suspension of journalists | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 17, 2022 9:25 am
  • Updated:December 17, 2022 4:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ। ‘বিনা যুক্তি’তে একাধিক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করায় এবার টুইটারকে একহাত নিল রাষ্ট্রসংঘ। শুধু তাই নয়, এলন মাস্কের সমস্যা বাড়িয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্তেপানে দুজারিচ জানান, সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করায় বিষটিতে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন মহাসচিব। ধনকুবের এলন মাস্কের এই পদক্ষেপ একটি ভয়ংকর উদাহরণ তৈরি করেছে। এই বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুজারিচ বলেন, “সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ভাবে সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছে টুইটার। এই ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।” মাস্ককে একহাত নিয়ে দুজারিচ কটাক্ষ করেন, যে প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চ নিজেকে বাক স্বাধীনতার পক্ষে বলে দাবি করে সেখানে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা কাম্য নয়। গোটা পৃথিবীতেই এখন সেন্সরের খাঁড়া নেমেছে সংবাদকর্মীদের উপর। হামলার মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘গুজরাট গণহত্যার কসাই মোদি’, পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক, পালটা জবাব ভারতের]

এদিকে, সাংবাদিকদের নিষিদ্ধ করার এলন মাস্কের সিদ্ধান্ত ইউরোপে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জার্মানি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন যে টুইটারকে অবশ্যই ইউনিয়নের নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর অন্যথায় নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। মূল্যবোধ এবং স্বচ্ছতার জন্য ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জাউরোভা বলেছেন, সাংবাদিকদের “নির্বিচারে সাসপেন্ড চিন্তাজনক” এবং এর ফলে টুইটারকে জরিমানা করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সিএনএন-এর ডনি ও’সুলিভান, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের রায়ান ম্যাক এবং ওয়াশিংটন পোস্টের ড্রু হারওয়েল সহ নেতৃস্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলির বেশ কয়েকটি উচ্চ-প্রোফাইল সাংবাদিকের অ্যাকাউন্টগুলি ব্যাখ্যা ছাড়াই নিষিদ্ধ করেছে টুইটার (Twitter)৷ আর এতেই বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অনেকেই। 

[আরও পড়ুন: আড়াই হাজার বছরের ‘ধাঁধা’, পাণিনির সূত্রের রহস্যভেদ কেমব্রিজের ভারতীয় পড়ুয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement